মশক নিধন-জলাবদ্ধতা নিরসন একযোগে চলবে: মেয়র তাপস
১১ মে ২০২২ ১৮:০১
ঢাকা: বর্ষা মৌসুম সামনে রেখে ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস নির্মূলের পাশাপাশি জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজ শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সংস্থাটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন, এখন থেকে মশা নিধন ও জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজ একযোগেই চলবে। তবে আষাঢ় মাস শুরু হলে মশা নিধনের মূল অভিযান শুরু হবে।
বুধবার (১১ মে) ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড ওয়ারীতে পরিচালিত এডিস নিয়ন্ত্রণে বিশেষ চিরুনি অভিযান কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় মেয়র এ কথা বলেন।
মেয়র তাপস এসময় বলেন, বর্ষা মৌসুমে শুরু হলে আমাদের দু’টি মূল কাজ অগ্রাধিকার পায়— মশা নিধন ও এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং জলাবদ্ধতা নিরসন। এই দুইটি বিষয়কে বিবেচনা করেই আমরা এবার অগ্রিম কাজ আরম্ভ করেছি।
বর্ষা মৌসুমের আগে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রাক-মৌসুম জরিপের ফলাফলের উদ্ধৃতি দিয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, এতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তিনটি ওয়ার্ডকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ এবং চারটি ওয়ার্ডকে মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আমরা এই সাতটি ওয়ার্ডকে নিয়েই কাজ শুরু করেছি, যেন কোথাও এডিসের লার্ভা জমে না থাকতে পারে।
এসময় মেয়র ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে পরিচর্যা না করা ছাদ বাগানকে দায়ী করে বলেন, পরিচর্যা না করা ছাদ বাগানগুলো ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। তাই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আমি ঢাকাবাসীর সহযোগিতা চাই।
ব্যারিস্টর তাপস বলেন, আপনারা দেখেছেন, থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। গত বছর একটানা চার মাস বৃষ্টি হয়েছে। এবারও যদি সে রকম হয়, তাহলে আমাদের জন্য কাজ করা কঠিন হবে। কারণ আমাদের বাসায়, স্থাপনায়, বাড়ির আনাচে-কানাচে, ছাদ বাগানে বৃষ্টির পানি জমে থাকে। আর পানি জমলেই সেখানে লার্ভা জন্মায়। এগুলো যথাযথভাবে পরিচর্যা করা হলে সেখানে লার্ভা জন্মাতে পারে না।
আসছে আষাঢ় মাস থেকে মূল অভিযান পরিচালনা করা হবে জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র তাপস বলেন, এরই মধ্যে আমরা সরকারের কাছে ১০টি অঞ্চলের জন্য ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চেয়েছি। তারা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন। এছাড়াও আগামী ১৬ মে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করব। এর মাধ্যমে আমরা আরও জনসচেতনতা বাোতে চাই।
এসময় মেয়র তিনটি বাড়ির ছাদ বাগান ও ছাদ ঘুরে দেখেন। এসব স্থাপনায় যেখানে পানি জমে আছে, সেসব স্থানে কীটনাশক প্রয়োগের নির্দেশ দেন তিনি।
এসময় মেয়রের সঙ্গে দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলোর কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/আরএফ/টিআর