Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘মুখ বুজে মার খাওয়ার সময় আর নেই’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১২ মে ২০২২ ১৭:২২

ঢাকা: এখন আর হামলার প্রতিবাদ নয়, প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। হামলা হলে পাল্টা হামলা, আঘাত আসলে পাল্টা আঘাত করতে হবে। যেখানেই হামলা সেখানেই প্রতিরোধ, সেখানেই পাল্টা হামলা। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত অন্যায়ভাবে আমরা শুধু মার খাব, মার খাওয়ার দায়িত্ব নেব, অন্যরা আমাকে মেরে যাবে- এটা সংবিধানে নেই। আমরা যা করি সংবিধান সম্মতভাবেই করি।

বৃহস্পতিবার (১২ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপি নেতারা এসব কথা বলেন। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ সারা দেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এ সমাবেশ আয়োজ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা মহানগর (উত্তর) বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকের সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদীন (ভিপি জয়নাল), শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সরাফত আলী সপু, আজিজুল বারী হেলাল, আব্দুস সালাম আজাদ, আফরোজা আব্বাস, সাইফুল আলম নিরব, আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, হাসান জাফির তুহীন, ছাত্র দলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘এখন সময় নেই। এখন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময়। ছাত্র যুবকরা যেই স্লোগান দিত, সেই স্লোগান দিতে হবে। স্লোগান দিতে হবে অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন; খালেদা জিয়ার অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন; তারেক রহমানের অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন।’

তিনি বলেন, ‘কুমিল্লায় ড. মোশাররফ হোসেনের বাড়িতে হামলা হয়েছে, ফেনীতে ভিপি জয়নালের বাড়িতে হামলা হয়েছে। আরও অনেক জায়গায় হামলা হয়েছে। কিন্তু মিডিয়া খোঁজ রাখে না। এটা তাদের (ক্ষমতাসীনদের) পরিকল্পিত মহড়া।’

বিজ্ঞাপন

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী প্রতিবাদ করার অধিকার আছে, কথা বলার অধিকার আছে, মিছিল করার অধিকার আছে, হরতাল-অবরোধ করার অধিকার আছে। এতে যারা বাধা দেবে, তাদের আমরা মোকাবিলা করব। পোশাকে হোক, বিনা পোশাকে হোক আর ছাড় দেওয়ার সময় নেই। আর মুখ বুজে পিঠে লাঠির মার খাওয়ার সময় নেই। একমাত্র আমরাই রাজপথে রক্ত দেব, আর তারা রক্ত নেবে- সেই দিন শেষ। জনগণের বাংলাদেশ সামনে অপেক্ষা করছে।’

স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘লুটপাটের জন্য দেশ স্বাধীন হয়নি। জনগণ দেশ স্বাধীন করেছে সুখে থাকার জন্য, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র দেখার জন্য। আমরা সেই রাষ্ট্রের জন্য লড়াই করছি। আমরা ক্ষমতার জন্য লড়াই করছি না, আমরা জনগণকে ক্ষমতাবান করতে লড়াই করছি। জনগণ ভোট দিয়ে সরকার গঠন করবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিবেশী একটি দেশ আগামী নির্বাচনের সিট দেওয়ার জন্য ফেরি করছে। তাদের কাছে আমার প্রশ্ন- আপনি সিট দেওয়ার কে? সংবিধানের কোনো পাতায় লেখা আছে? এইসব ফেরিওয়ালারা যেখানে যেখানে ফেরি করতে যান, নেতাকর্মীদের বলব রাস্তায় পেলে পা দুইটা ভেঙে দেবেন। এখন দালাল ধরতে হবে, এই সরকারের ফাঁদে যারা পা দেবে তাদের ঘেরাও করতে হবে। তাদের নজরে রাখতে হবে। আমরা একটা সিদ্ধান্তে একমত হয়েছি, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়।’

শ্রীলঙ্কা রাজাপক্ষ সরকারের পরিণতি প্রসঙ্গে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ, স্বৈরাচার-লুটপাটকারীদের পরিণতি ভালো হয় না। শ্রীলঙ্কার অবস্থা কেন এমন হলো? এক সময় শ্রীলঙ্কার মুদ্রা পাচারকারীরা আমেরিকায় ধরা পড়ল। তারপর ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় সারা শ্রীলঙ্কায় রাজাপক্ষ ও তার পরিবার লুটপাট ও কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে শান্তিপ্রিয় শ্রীলঙ্কার মানুষ আজ ফুঁসে উঠেছে। রাজাপক্ষ পালিয়েছে। তার লোকজন নদীতে ঝাঁপ দেওয়ারও সুযোগ পাচ্ছে না। এই আওয়ামী লীগ সরকারের পরিণতি রাজপক্ষের সরকারের চেয়ে ভয়াবহ হতে পারে।’

সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো হোক, তা চাই না। আমরা চাই মানসম্মানের সাথে আপনারা ক্ষমতা থেকে প্রস্থান করুন। নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন, সংসদ বিলুপ্ত করুন। এরপর নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে জনগণ যাকে ভোট দেবে তারা সরকার গঠন করবে।’

সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম

টপ নিউজ বিএনপি

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

উর্মিলার সংসার ভেঙে যাওয়ার কারণ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:০২

নতুন পরিচয়ে কুসুম সিকদার
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৫৭

সম্পর্কিত খবর