প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ৪০৮৬২ জন পাস
১২ মে ২০২২ ১৮:২১
ঢাকা: প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের রাজস্ব খাতভুক্ত ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০২০’ এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে শর্তসাপেক্ষে মোট ৪০ হাজার ৮৬২ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য বাছাই করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) বিকেলে অধিদফতরের নিজস্ব ওয়েবসাইটে এই ফল প্রকাশ করা হয়। প্রথম ধাপে হওয়া ২২ জেলার চাকরিপ্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষার ফল এটি।
অধিদফতরের যুগ্মসচিব পরিচালক (পলিসি ও অপারশেন) মনীষ চাকমা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরাধীন রাজস্ব খাতভুক্ত ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২০’ এর গত ১৮ অক্টোবর ২০২০ তারিখের ৩৮.০১.০০০০.১৪৩.১১.০০৮.২০-১৫২ স্মারকে জারিকৃত বিজ্ঞাপনের আলোকে ১ম ধাপে ২২ এপ্রিল ২২ জেলায় হওয়া লিখিত পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে নিম্নবর্ণিত শর্তসাপেক্ষে সর্বমোট ৪০ হাজার ৮৬২ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
২২ জেলার মধ্য ১৪ জেলার সম্পূর্ণ। এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মাগুরা, শেরপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, ঢাকা, মাদারীপুর, মুন্সীগঞ্জ, লক্ষীপুর, ফেনী, চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার, লালমনিরহাট রয়েছে। এছাড়াও আট জেলার আংশিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। যার মধ্যে সিরাজগঞ্জ, যশোর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কুমিল্লা, নোয়াখালী রয়েছে।
পরীক্ষার ফলে শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে- এই ফলাফল সাময়িক ফলাফল হিসেবে গণ্য হবে। এ ফলাফলের ভিত্তিতে নির্বাচিত প্রার্থীরা কেবল মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এ ফলাফল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাজস্ব খাতভুক্ত ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২০’ এর কোনো শূন্য পদে নিয়োগের জন্য কোনো নিশ্চয়তা প্রদান করে না।
এ ছাড়াও প্রকাশিত ফলাফলের যে কোনো পর্যায়ে কোনো প্রকার ভুল-ভ্রান্তি/ত্রুটি-বিচ্যুতি/মুদ্রণজনিত ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে তা সংশোধন করার বা প্রয়োজনবোধে সংশ্লিষ্ট ফলাফল বাতিল করার এখতিয়ার কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করে।
কোনো প্রার্থী ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো ভুল তথ্য প্রদান করলে কিংবা কোন তথ্য গোপন করেছেন মর্মে প্রতীয়মান/প্রমাণিত হলে কর্তৃপক্ষ তার ফলাফল বা নির্বাচন বাতিল করতে পারবে।
প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯’ অনুসরণপূর্বক নিয়োগের জন্য চূড়ান্তভাবে প্রার্থী নির্বাচন করা হবে।
মৌখিক পরীক্ষার স্থান, তারিখ ও সময় পরবর্তী সময়ে যথাসময়ে প্রার্থীদের জানানো হবে বলেও শর্তে উল্লেখ করা হয়েছে।
সারাবাংলা/টিএস/একে