পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক, ঘর হারিয়ে দিশেহারা ১৫ পরিবার
১৪ মে ২০২২ ২২:১৪
সুনামগঞ্জ: জেলার করচা হাওরের উঁচু এলাকার ২৬ গ্রামের কৃষকের পাকা ধান ঢলের পানিতে ডুবেছে। বানের তোড়ে ১৫টি বসতবাড়িও ভেসে গেছে। শুক্রবার বিকালে গজারিয়া রাবারড্যামের পাশের সড়কের দু’টি অংশ ভেঙে এই বিপর্যয় দেখা দেয়।
শনিবার (১৪ মে) বেলা ১১টায় বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বসতভিটা হারানো পরিবারসহ ৫০টি পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন।
জানা যায়, সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের কৃষকের প্রায় আট হাজার হেক্টর জমি রয়েছে করচার হাওরে। হাওরের প্রায় সাত হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে সপ্তাহখানেক আগেই। কিন্তু উঁচু এলাকার জমির ধান এখনও রয়ে গেছে। এসব জমিতে বিআর-২৯ জাতের ধানের আবাদ বেশি হয়েছে, ফলনও বাম্পার হয়েছে।
প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সুরমা ও চলতি নদীর পানি বাড়ায় গজারিয়া রাবারড্যামের পাশের সড়কের দু’টি অংশ শুক্রবার বিকালে হঠাৎ ভেঙে যায়। প্রবল বেগে ঢোকা পানিতে ভাদেরটেক গ্রামের আব্দুস ছাত্তার, আবুল হোসেন, ফয়জুর রহমান, আলম মিয়া, দয়াল মিয়া, তৈয়বুর মিয়া, মোহন মিয়া, শওকত আলী. মতি মিয়া, মঞ্জুর আলী, নুরুল ইসলাম, জয়নাল আবেদীন, মুজারা খাতুন, জরিনা খাতুন ও হিবজুর রহমানের বসতভিটা ভেসে গেছে।
দ্রুত বেগে পানি ঢুকে করচার হাওরের উঁচু এলাকার ফসলি জমির বেশিরভাগই ডুবে গেছে। হাওরপাড়ের সলুকাবাদ, পলাশ ও গৌররং ইউনিয়নের ২৬ গ্রামের কৃষকদের জমির পাকা ধানের জমি ডুবেছে।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদি-উর-রহিম জাদিদ বলেন, ‘গজারিয়া রাবারড্যামের পাশের দুটি অংশ পানির চাপ সামলাতে না পেরে ভেঙেছে। কিছু পরিবারের বসতভিটা ভেসে গেছে। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা তাদের সহযোগিতা করেছি। পাকা ধান কেটে আনতেও কৃষি অফিস সহযোগিতা করছে।’
করচার হাওরের উঁচু এলাকার কৃষকরা জানান, ধান কাটতে শ্রমিক সংগ্রহে সহযোগিতা পেলেই নিমজ্জিত অনেক পাকা ধান কেটে আনতে পারবেন।
সারাবাংলা/এমও