Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

যানজট কমাতে শিক্ষার্থীদের জন্য বাস চালুর আহ্বান আতিকের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৫ মে ২০২২ ০৯:৫২

আতিকুল ইসলাম, ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: রাজধানীর যানজট কমাতে শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যাতায়াতে ব্যক্তিগত গাড়ির বদলে বাস চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

শনিবার (১৪ মে) ডিএনসিসি’র নগর ভবনে আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের দুই বছর পূর্তিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকার প্রাইভেট স্কুল-কলেজের জন্য বাস চালু করতে হবে। বিশেষ করে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে আমরা লক্ষ্য করেছি, স্কুলের বাচ্চাদের মধ্যে প্রাইভেটকারের একটা প্রতিযোগিতা চলে। বাচ্চারা বলাবলি করে, কার কি গাড়ি আছে। এই প্রতিযোগিতার অবসান হবে। যার ফলে যানজট অনেকাংশেই কমে যাবে।

তিনি বলেন, আপনারা খেয়াল করলে দেখতে পাবেন, স্কুল-কলেজের আশপাশের এলাকায় প্রাইভেটকারের জন্য যানজট লেগে থাকে। স্কুল বাস চালু করলে এই যানজটটুকু থাকবে না। আর স্কুল-কলেজ বাস চালু করলে আমি কথা বলে তাদের জন্য এই বাসগুলোর ট্যাক্স কমিয়ে দেব। তবুও আপনারা স্কুল বাস চালু করুন।

তিনি আরও বলেন, শিশুদের নিরাপত্তার জন্য ব্যাগে ডিভাইস দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। অনেকের মধ্যে একটা টেনশন থাকে বাচ্চাদের নিরাপত্তা নিয়ে। বাচ্চাদের নিরাপত্তার জন্য কার বাচ্চা কোথায় আছে সেটা যেন বাসায় বসে মোবাইলে দেখতে পারে, সেজন্য চিপ/ডিভাইস প্রত্যেক বাচ্চাদের ব্যাগে লাগিয়ে দেওয়া হবে। তাহলে অভিভাবকরা মোবাইলে দেখতে পাবে বাচ্চা কোথায় আছে।

দায়িত্ব গ্রহণের দুই বছরের বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা অ্যাপস করেছি, নগরবাসীকে আমি আহ্বান জানাবো আপনারা তথ্য দিন। আমরা এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য র‌্যাপিড অ্যাকশন টিম করেছি। তথ্য দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টিম চলে যাবে। আপনার বাসার আশেপাশে স্প্রে করবে, যাতে লার্ভা এবং মশা দুটোই ধ্বংস হয়।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, হোল্ডিং ট্যাক্স দিতে গ্রাহকদের আর ভোগান্তি হবে না। আমরা নো ক্যাশ ট্রানজেকশন ব্যবস্থা চালু করেছি। এখানে কোনো গ্রাহককে সরাসরি হোল্ডিং ট্যাক্স দিতে হবে না। সরাসরি ট্যাক্স দিতে গেলে কর্মকর্তারা সুযোগ পেয়ে যায়। তারা তখন নানা ধরনের ব্যবস্থা দেখায়, বিশেষ করে ফ্ল্যাটের মাপ, ড্রইং রুমের মাপ, বারান্দার মাপ। যার কারণে একজন গ্রাহক বিরক্ত হয়ে সরাসরি কন্ট্রাক্টে চলে যায়। এই ব্যবস্থাই আর রাখছি না। নগদ টাকা হবে না, ট্যাক্স হবে অনলাইানে, নো ক্যাশ ট্র্যানজেকশন ব্যবস্থা চালু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, খাল উদ্ধারে ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। ড্রোনের মাধ্যমে খালের সীমানা নির্ধারণ চলছে। এখানে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সীমানা নির্ধারণের মাধ্যমে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সকল খাল ফিরিয়ে আনা হবে। ড্রোনের মাধ্যমে সীমানা নির্ধারণের কাজ শেষ হলে পিলার বসানো হবে। সেই পিলার কারও ড্রয়িং রুমে পড়তে পারে, কারও বারান্দায় এমনকি থাকার ঘরেও পড়তে পারে।

অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, কাউন্সিলর ও ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এসবি/এনএস

মেয়র আতিকুল ইসলাম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর