Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে সেমিনার অনুষ্ঠিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৬ মে ২০২২ ০৯:১৬

ঢাকা: বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের উদ্যোগে ‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন : ইতিহাসের পুনর্নির্মাণ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১৫ মে) সকাল সাড়ে ১০ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান কামাল, এমপি ।

সেমিনারে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানে সভাপতিত্বে সেমিনারের শুরুতে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান।

বিজ্ঞাপন

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, পঁচাত্তরের সেই সময়টা আমাদের ইতিহাসে সবসময়ই কাটা দাঁগের মতো লেগে থাকবে। সে সময় বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়েছিলো। শিশু রাসেলকেও ছাড়া দেয়া হয়নি। উদ্দেশ্য ছিলো বাংলাদেশকে আবারো পূর্ব পাকিস্তান হিসেবে গড়ে তোলা। এমনটাই উদ্দেশ্য ছিলো কতজন বিপথগামী সেনা কর্মকর্তার। একাত্তরে হেরে যাওয়া সেনা কর্মকর্তারাই এক জোট হয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা যখন বিদেশে যেতাম সেখানে সবাই এক কথাই বলতো, তোমরা সেই জাতি? যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে? এসব শুনে লজ্জায় মাথা হেট হয়ে যেতো। সেই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ দিয়েছেন তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, যেদিন প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরেন, লাখো মানুষের ঢল নেমেছিল। সেদিন ঝড় বৃষ্টি হচ্ছিল, মনে হলো যেনো প্রকৃতিও হয়ত বঙ্গবন্ধু কন্যাকে স্বাগত জানাতে এসেছে।
এসেই ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ঝড় বৃষ্টির কারণে তিনি সেখানে যেতে পারেননি। তিনি গেটে দাঁড়িয়েই মোনাজাত ধরলেন। সেদিনই তিনি ঠিক করে নিয়েছিলেন কিভাবে তিনি দেশের অবস্থাটা পরিবর্তন করবেন। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়েই সারা বাংলাদেশ ঘুরে বেড়িয়েছেন। তিনি যেখানেই যেতেন, সেখানেই সবাই তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলত, এইতো শেখের বেটি এসেছে এবার আমাদের কেউ রুখতে পারবে না।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার যিনি করেছিলেন তিনি আর কেউ নন, তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু হত্যার যে কালো দাগ আমাদের কপালে লেগেছিল আমার মনে হয় বঙ্গোপসাগরের সব পানি দিয়ে ধুলেও সেই দাগ মুছবে না। কিন্তু এখন আমাদের মনে একটু প্রশান্তি জাগে আমরা তাদের হত্যার বিচার করতে পেরেছি। এখন আমরা বিদেশে গেলেও বলতে পারি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার আমরা করতে পারি। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা বলেছিলেন আমি যদি ক্ষমতায় আসি তাহলে এই বাংলাদেশকে বদলে দেবো এবং তিনি এসেছিলেনও। এরপরই ২০০১ সালে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতা থেকে সড়ানো হয়। বঙ্গবন্ধু যে অসমাপ্ত কাজগুলো রেখে গিয়েছিলেন সেসব তিনি বাস্তবায়ন করেছিলেন। তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে বাংলাদেশকে আজকে পরিপূর্ণ ঝুড়িতে পরিণত করেছেন।

প্রধান অতিথি আরও বলেন, আজকে বাংলাদেশের যেখানেই যাবেন সবাই বলে বঙ্গবন্ধু কন্যা ছাড়া আমরা আর কিছু বুঝি না। তিনিই আমাদের এগিয়ে যাওয়ার সাহস দিয়েছেন। ২০০৮ সালে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখন বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল ৫৬০ মার্কিন ডলার, যা এখন ২৮০০ মার্কিন ডলারের উপরে। এটি কোনো ম্যাজিক নয়, তার কাছে আলাদিনের চেরাগও নেই। এটি সম্পূর্ণ তার নেতৃত্বের কৃতিত্ব।

সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গাইবান্ধা-৪ আসনের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ১৯৭২ সালে বাকশালে বহুদল নিয়ে বাকশাল গঠিত হয়। যদিও বলা হয় একদলীয় বাকশাল তবে এটা মূলত বহুদল অংশগ্রহণে গঠিত হয়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন জরুরি ছিল। তিনি দেশে ফিরেই সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে, একনায়তন্ত্রের বিরুদ্ধে, গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যুদ্ধ করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সহ-সভাপতি ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী বলেন, বাংলাদেশ এখনো মুক্তবুদ্ধির জয়গান গাইছে, অসাম্প্রদায়িক চেতনার জয়গান গাইছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা ইতিহাসের পুনর্নির্মাণ করেছেন। মৌলবাদি রাষ্ট্র হওয়ার পথ থেকে তিনি বাঁচিয়েছেন।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ১০ই জানুয়ারি ১৯৭২ সালে একটি স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমান দেশে এসেছিলেন। কিন্তু ১৭ই মে যখন শেখ হাসিনা বাংলাদেশে এসেছিলেন, তিনি কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে আসেন নাই। আমি মনে করি ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর স্বপরিবারে হত্যার পর এটা স্বাধীন বাংলাদেশ ছিল না। এটা পূর্ব পাকিস্থান ছিল। সেই সময় মৌলবাদীরা রেসকোর্স ময়দানে বলতে থাকেন- তোয়াব ভাই, তোয়াব ভাই, চাঁদ তারা পতাকা চাই। সেই অবস্থা থেকে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে পুনর্নির্মাণ করেছেন।

সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ আজম, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদেও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু । এসময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এসএসএ

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর