Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ওয়াজ করে মহানবীও টাকা নিতেন, টাকা নেওয়া সুন্নত’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৬ মে ২০২২ ১৫:১০

জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, ‘ওয়াজ মাহফিল করে আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) টাকা নিতেন। সাহাবিরা তাকে টাকা দিতেন। ওয়াজ মাহফিল করে টাকা নেওয়া সুন্নত। হুজুররা ওয়াজ মাহফিল করে টাকা না নিলে খাবে কী?’

সোমবার (১৬ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংগঠনটি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিষদের সভাপতি আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী। উপস্থিত ছিলেন মাওলানা শামসুল হুদা আশরাফী, মাওলানা আব্দুল মতিন প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিকে বিতর্কিত সংগঠন হিসেবে মন্তব্য করে বলা হয়, জাতীয় সংসদের আদিবাসী ও সংখ্যালঘু বিষয়ক ককাশের উদ্যোগে গঠিত বাংলাদেশে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গণকমিশন নামে একটি কথিত কমিশন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদনে ১১৬ জন আলেম ও ১ হাজার মাদরাসা সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয়েছে। ১১৬ জন আলেমের নাম উল্লেখ করে তাদেরকে ধর্মব্যবসায়ী বলে অবিহিত করা হয়েছে। যদিও তাদের শ্বেতপত্র জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়নি। যদি তাদের উদ্দেশ্য সৎ হতো এবং তাদের সৎ সাহস থাকতো তাহলে শ্বেতপত্রটি জনসম্মুখে উন্মুক্ত করে দিতে পারতো। তারা তারা করেনি। কথিত শ্বেতপত্র নিয়ে তাদের একধরনের রাখঢাক লুকোচুরি ও মিডিয়াবাজি প্রমাণ করে, তারা এই অভিযোগপত্র নিয়ে নাগরিকদের মাঝে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এদেশে ইসলাম এসেছে সুফি-দরবেশ ও পীর-মাশায়েখদের মাধ্যমে। তারা প্রেম-ভালোবাসা দিয়ে মানুষের মন জয় করেছেন। সেই তখন থেকেই বাংলার গ্রামগঞ্জে, হাটবাজারে, পাড়া-মহল্লায় প্রতিবছর অন্তত একবার সম্মিলিতভাবে ওয়াজ মাহফিল আয়োজন করা হয়। এই ওয়াজের মাধ্যমে সমাজে পরকীয়া দর্শন নারীবিদ্বেষ নারী নির্যাতন দুর্নীতি ইত্যাদি অপরাধের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে উঠেছে। অথচ আজকে যারাই ওয়াজের বিরুদ্ধে বানোয়াট শ্বেতপত্র নাটক করছে, তারা আদতে মুসলিম বাঙালি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে শক্তি। এই চক্রটি আমদানিকৃত অপসংস্কৃতি দেশ ও জাতির মধ্যে চাপিয়ে দেওয়ার ঘৃণ্য চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে বলে আমরা মনে করছি।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭ ধারা মতে দেশের সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান। ৩২ ধারা মতে কোনো নাগরিককে জীবন ও ব্যক্তি-স্বাধীনতার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। ৪৩ ধারা মতে প্রত্যেক নাগরিক তল্লাশি থেকে ও যোগাযোগ মাধ্যমের গোপনীয়তা রক্ষার অধিকারী। এই ধারা সমূহ ও সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগে ধারা ২৬ থেকে ধারা ৪৭ এ বর্ণিত মৌলিক অধিকার অংশের মূল বক্তব্য হলো নাগরিকের স্বাধীনতা সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার নিশ্চয়তা প্রদান করতে রাষ্ট্র বাধ্য। সংবিধান এর ধারামতে দেশের কোনো নাগরিক বা অন্য কোনো নাগরিকের ওপর অনুসন্ধান গোয়েন্দাগিরি ও তদন্ত করতে পারে না।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, এই বিবেচনায় শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও তুরিন আফরোজ সংবিধান লংঘন করেছেন। শামসুদ্দিন মানিক এবং তুরিন আফরোজ দুজনই বিতর্কিত ব্যক্তি। সংসদে তাদের নিয়ে তুমুল সমালোচনা করা হয়েছে। তাকে একজন সিনিয়র পার্লামেন্টারিয়ান স্টাডিস্ট বলেও আখ্যা দিয়েছিলেন। তুরিন আফরোজ নিজের সহকারীকে স্বামী পরিচয় দিয়ে বোরকা পড়ে হোটেলের নির্জন কক্ষে আসামির সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছে।

নারী কেলেঙ্কারিসহ নানা কারণে বেশ কয়েকজন আলেম জেলে রয়েছেন, জেলে রয়েছেন খুনের আসামিও তাদের ব্যাপারে আপনাদের অবস্থান কী— উত্তরে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, আমরা সকল আলেমদের মুক্তি চাই।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এএম

ওয়াজ গাজী আতাউর রহমান টপ নিউজ মহানবি

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর