Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বরিশাল সিটির কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৬ মে ২০২২ ১৯:০৬

প্রতীকী ছবি

বরিশাল: বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কেফায়েত হোসেন রনির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণ মামলা করেছেন এক তরুণী।

সোমবার (১৬ মে) বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন ওই তরুণী। আদালতের বিচারক ইয়ার হোসেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) মামলাটি তদন্ত শেষে ১৬ জুনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

মামলায় অভিযুক্ত কেফায়েত হোসেন রনি ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বৌ বাজার কশাইবাড়ির পোল এলাকার রফিকুল ইসলাম মঞ্জুর ছেলে। ওই তরুণী নগরীর কালুশাহ সড়কের বা‌সিন্দা।

আদালতের বেঞ্চ সহকা‌রী হুমায়ুন কবির ও বাদী পক্ষের আইনজী‌বী আজাদ রহমান মামলা দায়েরের তথ্য নি‌শ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মোবাইল ফোনে কেফায়েত হোসেন রনির সঙ্গে ওই তরুণীর পরিচয় হয়। এরপর ফোনে কথা হতে থাকে তাদের মধ্যে। একপর্যায়ে র‌নি তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তাদের সম্পর্ক আরও ঘ‌নিষ্ঠ হয়ে ওঠে। বি‌ভিন্ন সময় তারা ব‌রিশালের একা‌ধিক রেস্টুরেন্টে দেখাও করেন। এছাড়া রনি প্রায়ই ওই তরুণীকে বাসায় যাওয়ার প্রস্তাব দিতেন।

এজাহারে বলা হয়, গত ৭ মে জরুরি কথা আছে বলে রনি ওই তরুণীকে বাসায় ডেকে নিয়ে একা‌ধিকবার ধর্ষণ করেন। এরপর ৮ মে রাত ৮টায় ফের তাকে বাসায় ডেকে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। পরে ওই তরুণী বিয়ের জন্য রনিকে চাপ দিলে ১২ মে বাসায় ডেকে নিয়ে রনি মেয়েটিকে মারধর করেন রনি। তার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ফোনে রক্ষিত সব তথ্য মুছে ফেলেন এবং ধর্ষণের বিষয়ে কাউকে কিছু বললে হত্যার হুমকি দেন।

এজাহারে আরও বলা হয়েছে, ওই তরুণী বাসায় ফিরে বিষয়টি নিয়ে তার মা-বাবার সঙ্গে কথা বলেন। এ ঘটনায় তারা পরিবার থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিলে বিষয়টি টের পেয়ে রনি গত ১৪ মে নগরীর কাউনিয়া থানায় ওই তরুণীর মোবাইল নম্বর উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দেন। থানা থেকে এক পুলিশ সদস্য ফোন দিলে ওই তরুণী ধর্ষণের ঘটনা খুলে বলেন। পরে তিনি কাউনিয়া থানায় ধর্ষণ মামলা করতে গেলে আদালতে মামলা দায়েরের পরামর্শ দিয়ে তাকে থানা থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ভুক্তভোগী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে রনির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন।

বিজ্ঞাপন

ধর্ষণের অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করছেন কাউন্সিলর কেফায়েত হোসেন রনি। তিনি বলেন, কয়েকমাস হলো বিয়ের জন্য আমার মা-বাবা পাত্রী খুঁজছেন। রোজার মধ্যে আমার হোয়াটসঅ্যাপে ওই তরুণীর ছবি পাঠানো হয়। এরপর আমার নম্বরে ফোন করে তরুণীকে পছন্দ হয়েছে কি না, জানতে চাওয়া হয়। পছন্দ হয়নি বলে জানিয়ে দিলেও প্রায় প্রতিদিনই ওই তরুণী ফোন দিয়ে আমাকে বিরক্ত করতে থাকেন।

রনি বলেন, এক পর্যায়ে অতীষ্ঠ হয়ে থানায় জিডি করেছিলাম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ এনে মামলা করেছেন ওই তরুণী। এটি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই নয়।

সারাবাংলা/টিআর

কেফায়েত হোসেন রনি টপ নিউজ ধর্ষণের অভিযোগ বরিশাল সিটি করপোরেশন বিসিসি কাউন্সিলর

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

শরৎ বাংলাদেশের কোমল স্নিগ্ধ এক ঋতু
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৪

সম্পর্কিত খবর