পি কে হালদারকে ফিরিয়ে আনতে হাইকোর্টের রুল শুনানি ১২ জুন
১৭ মে ২০২২ ১৩:৩৫
ঢাকা: ভারতে গ্রেফতার হওয়া এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে জারি করা রুলের পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১২ জুন দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলার অগ্রগতি জানাতে দুদকের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৭ মে) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ছিলেন খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আইনজীবীর উদ্দেশে আদালত বলেন, ‘আপনারা শুধু নির্দিষ্ট করে দিন অর্থপাচারকারীরা কোথায় আছেন, আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আদেশ দেব। আমাদের বিভিন্ন আদেশের কারণেই পি কে হালদার আজ সারাবিশ্বে অন্যভাবে আলোচিত, অর্থপাচারকারী হিসেবে চিহ্নিত। আমরা এমন আদেশ দেব, পি কে হালদার ও অন্যান্য অর্থ পাচারকারীরা পৃথিবীর কোথাও গিয়ে শান্তিতে থাকতে পারবে না।’
পরে আদালত পি কে হালদারকে গ্রেফতার ও দেশে ফিরিয়ে আনতে জারি করা রুল শুনানির জন্য আগামী ১২ জুন দিন ঠিক করেন। একইসঙ্গে এই সময়ের মধ্যে পি হালদারের বিরুদ্ধে থাকা সব মামলার তথ্য জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গতকাল ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক পি কে হালদার ভারতে গ্রেফতার হওয়ার বিষয়টি আদালতকে জানান। একইসঙ্গে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে আগে জারি করা রুল শুনানির আবেদন জানান।
২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর পি কে হালদারকে গ্রেফতার ও দেশে ফিরিয়ে আনতে রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট। ওই রুল শুনানির জন্য অপেক্ষায় ছিল। পি কে হালদারকে নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে এই রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট।
গত ১৩ মে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার ও তার কয়েক সহযোগীকে গ্রেফতার করে ভারতের ডিরেক্টরেট অব এনফোর্সমেন্ট (ইডি)। পরদিন আদালতের মাধ্যমে তাদের তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে কয়েক হাজার কোটি টাকা অর্থ আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এখন পর্যন্ত মোট ৩৪টি মামলা করেছে দুদক। এগুলোর মধ্যে একটির অভিযোগপত্র আদালতে দাখিলও করা হয়েছে। সেইসঙ্গে আরও তিনটি অভিযোগপত্র কমিশনের অনুমোদনের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে।
মামলায় আসামিদের মধ্যে ১৩ জনকে ইতোমধ্যেই গ্রেফতার ও রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১ জন আসামি আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকি ৬৪ জনের বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আদালত।
গত বছরের ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারকে গ্রেফতারের জন্য রেড অ্যালার্ট জারি করে ইন্টারপোল।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এমও