‘ইদুল আজহায় শতভাগ দেশীয় পশু দিয়ে কোরবানি সম্ভব’
১৭ মে ২০২২ ২০:২৭
ঢাকা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, আগামী ইদুল আজহায় কোরবানির পশুর কোন সংকট হওয়ার কোন আশঙ্কা নেই। গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকবায় এবারও শতভাগ দেশীয় পশু দিয়ে কোরবানি সম্ভব হবে। দেশীয় খামারিদের রক্ষায় এবং তারা যাতে পশুর ন্যায়মূল্য পায় সেজন্য দেশের বাইরে থেকে পশু আনা বন্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সরকার। ফলে আসছে কোরবানির ইদে শতভাগ দেশীয় পশু দিয়ে কোরবানি সম্পন্ন করার সবধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (১৭ মে) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত কাভার করা সাংবাদিকদের সংগঠন ফিশারিজ অ্যান্ড লাইভস্টক জার্নালিস্টস ফোরামের (এফএলজেএফ) সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে শ ম রেজাউল করিম এসব কথা বলেন।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘আমাদের খামারগুলোতে যে পরিমাণ পশু উৎপাদন হচ্ছে, তা চাহিদা মিটিয়েও উদ্বৃত্ত থাকবে। গত বছর কোরবানিতে উৎপাদিত গরুর ১০ শতাংশ বিক্রি হয়নি। খামারিরা এসব গরু বিক্রি না করতে পেরে হাট থেকে ফিরিয়ে নিতে হয়েছে। সেগুলোর পাশাপাশি এ বছর অনেক পশু খামারিদের হাতে রয়েছে। সাড়ে সাতশ খামারি এবং গৃহস্থের কাছে থাকা গবাদিপশু দিয়ে প্রয়োজন মেটানো সম্ভব।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। গত বছরের মতো খামারিদের গরু নিয়ে ফিরে যেতে হবে না। উপযুক্ত দামেই গরু বিক্রি করতে পারবেন। পাশ্ববর্তী দেশ থেকে যাতে দেশে গরু আসতে না পারে সেজন্য বর্ডার এলাকায় নজরদারি আরও জোরদার করতে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘বাইরের পশু এলে নানা ধরনের সমস্যা হয়। প্রথমত এসব পশুর মাধ্যমে রোগবালাই চলে আসে। ফলে আমাদের খামারিদের গরুগুলো আক্রান্ত হতে পারে। এছাড়াও বাইরের গরু দেশে আসলে আমাদের খামারিরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে।’
শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘কোরবানির পশুর হাটে বরাবরের মতো ভেটেরিনারি চিকিৎসক থাকবেন। ক্রেতা ও খামারিরা চাইলে তাদের সেবা নিতে পারবেন। এছাড়াও হাটগুলোতে নানা ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পরিচালনা করা হবে মোবাইল কোর্ট। করোনা থেকে যাতে সমস্যা না হয়, সেজন্য অনলাইনে পশু বিক্রির ব্যবস্থা করেছিলাম। এবার সেই প্রক্রিয়াও থাকবে, হাট-বাজারেও বিক্রি হবে।’
গরুর মাংসের দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা সাড়ে পাঁচশ টাকায় প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি করছি। তারা কেন পারবেন না। দু/তিন জন মধ্যস্বত্বভোগী মাঝখানে ঢুকে যায়। এ কারণে দামটা বেড়ে যায়। আমরা তো লোকসানে গরুর মাংস বিক্রি করি না। তাহলে তারা কেন পারবে না?’
এ সময় সংগঠনের সভাপতি মুন্না রায়হান, সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম সুমনসহ সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম