সেই এরশাদ আলীকে পুলিশের তুলে হাতে দিলেন হাইকোর্ট
১৭ মে ২০২২ ২২:২১
ঢাকা: এবি ব্যাংক থেকে ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডারের মাধ্যমে ১৭৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় মো. এরশাদ আলীকে জামিন না দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন হাইকোর্ট। তাকে সরাসরি শাহবাগ থানায় সোপর্দ করে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১৭ মে) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজহারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, রিকশাচালক থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া এরশাদ ব্রাদার্স করপোরেশনের মালিক এরশাদ আলীর বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ৮ জুন মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
তার মালিকানাধীন এরশাদ গ্রুপ ভুয়া ব্যাংক গ্যারান্টিতে এবি ব্যাংকের ১৭৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। এ অভিযোগে মামলা করে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ উপসহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ। মামলায় এরশাদ গ্রুপের স্বত্বাধিকারী মো. এরশাদ আলীসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়।
এজাহারে বলা হয়, প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে এরশাদ গ্রুপ স্বেচ্ছায়-সজ্ঞানে জাল ওয়ার্ক অর্ডার প্রস্তুত করে। তারা সাতটি ব্যাংক গ্যারান্টির মাধ্যমে ১৭৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে।
এরশাদ আলী ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন— এবি ব্যাংকের ইসলামী ব্যাংকিং শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক এ বি এম আবদুস সাত্তার, সাবেক এসভিপি রিলেশনশিপ ম্যানেজার ইসলামী ব্যাংকিং শাখা আবদুর রহিম, আনিসুর রহমান, এইক শাখার ভিপি শহিদুল ইসলাম, এভিপি রুহুল আমিন, এবি ব্যাংকের সাবেক এমডি মসিউর রহমান, শামীম আহমেদ চৌধুরী, ইভিপি ও হেড অব সিআরএম ওয়াসিক আফরোজী, মুফতি মুস্তাফিজুর রহমান (স্বপন), সাবেক এসইভিপি সালমা আক্তার, সাবেক এভিপি এমারত হোসেন ফকির, সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার তৌহিদুল ইসলাম, এসভিপি শামীম-এ-মোরশেদ, ভিপি খন্দকার রাশেদ আনোয়ার, এভিপি সিরাজুল ইসলাম ও সাবেক ভিপি ও ক্রেডিট কমিটির সদস্য মাহফুজ-উল-ইসলাম।
আইনজীবীরা জানান, এবি ব্যাংক লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক কাকরাইল শাখা থেকে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রজেক্টের ঠিকাদার সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেড এবং চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের নাম করে ছয়টি ভুয়া ও জাল ওয়ার্ক অর্ডারের মাধ্যমে এবং সাত ব্যাংক গ্যারান্টির মাধ্যমে ১০ লাখ মোট ১৭৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় মো. এরশাদ আলী (প্রোপাইটর এরশাদ ব্রাদার্স করপোরেশন) আগাম জামিন নিতে আসলে হাইকোর্ট জামিন না দিয়ে তাকে সরাসরি শাহবাগ থানায় সোপর্দ করেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/টিআর