Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রভোস্টের বরাদ্দ দেওয়া সিট ‘বাতিল’ করলেন ছাত্রলীগ নেতা

রাবি করেসপন্ডেন্ট
১৮ মে ২০২২ ০৯:০৪

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জাবের হোসেন, ছবি: সারাবাংলা

রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ হবিবুর রহমান হল থেকে জাবের হোসেন নামে এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের হল সভাপতি মোমিন ইসলামের বিরুদ্ধে। গত সোমবার (১৬ মে) রাত সাড়ে ১১টায় হলের ৪২৬ নম্বর কক্ষ থেকে ওই শিক্ষার্থীর বিছানাপত্র নিচে ফেলে দিয়ে ওই সিটে প্রথম বর্ষের অনাবাসিক এক শিক্ষার্থীকে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।

ভুক্তভোগী জাবের হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও হল প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত সপ্তাহে হল প্রাধ্যক্ষের মাধ্যমে জাবের হোসেন ৪২৬ নম্বর কক্ষে ওঠেন। সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় ঘুম থেকে তুলে ওই শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা কর্মী গিয়ে জোরপূর্বক তার বিছানাপত্র নিচে ফেলে দেয়। অভিযুক্ত সবাই হল সভাপতি মোমিন ইসলামের অনুসারী বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘গত সোমবার সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্রলীগের ১০ থেকে ১২ জন রুমে আসে। তখন আমি ঘুমে ছিলাম। আমাকে ঘুম থেকে তুলে আমার বিছানাপত্র বইসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ফেলে দেয়। পরে তারা আমাকে বলে- এটা রাজনৈতিক সিট, এখানে তুমি থাকতে পারবা না। এখনই সিট থেকে নেমে যাবে। এভাবে কথা বলতে বলতে তারা আমার জিনিসপত্র সব বের করে দিয়ে এপ্লাইড ম্যাথমেটিক্স ১৯-২০ সেশনের একটা ছেলের জিনিসপত্র তুলে দেয়। পরে আমি আমার আবাসিকতার কার্ড দেখালে তারা বলে, এসব কার্ড দেখিয়ে কোনো লাভ নাই। প্রভোস্ট তোমাকে উঠাইছে তুমি তার কাছে যাও। আমাদের সঙ্গে কথা বলে কোনো লাভ নাই।

জাবের আরও বলেন, ‘ঘটনার পরে মোমিন ভাই আমাকে রুমে ডেকে নিয়ে বলেন- এটা রাজনৈতিক সিট, এই সিটের আশা তুমি করো না। রাজনৈতিক সিটে তুমি বরাদ্দ কেমনে পাও? তুমি এই সব কথা প্রভোস্ট কে গিয়ে বলো। তখন আমি প্রভোস্ট স্যারকে বললে, স্যার সেই ছেলেকে ডেকে বলে কিন্তু সে এখনো সিট ছাড়ে নাই।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হল সভাপতি মোমিন হোসেন বলেন, এই সিটটা পলিটিক্যাল সিট। দীর্ঘদিন যাবৎ আমাদের দখলে ছিল। কিন্তু প্রভোস্ট স্যার নতুন করে সিট বরাদ্দ দিয়ে সেই শিক্ষার্থীকে তুলে দিয়েছেন। যে সব সিটে আমাদের পলিটিক্যাল নেতাকর্মীরা আগে থেকেই ছিলেন তাদের সিট বরাদ্দ না দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সিট বরাদ্দ দিয়ে তুলে দিচ্ছেন। আমরা স্যারকে অনেকবার বলার পরও তিনি পলিটিক্যাল সিটগুলো এভাবে নতুন করে সিট বরাদ্দ দিচ্ছেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো.জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমি ছেলেটার বিষয়ে জানি। কালকে রাত থেকে সমাধান করার চেষ্টা করতেছি। আমি নতুন ছেলের সঙ্গে কথা বলেছি, আমার চেষ্টা অব্যহত আছে। আমি সব সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে আছি এবং তাদের যেকোনো সমস্যা সমাধানে জন্য কাজ করে যাচ্ছি।

সারাবাংলা/এনএস

টপ নিউজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর