চট্টগ্রামে অস্ত্র মামলায় ৪ জনের কারাদণ্ড
১৮ মে ২০২২ ১৭:৪৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে পৃথক দুই অস্ত্র মামলায় চার জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় অস্ত্র উদ্ধারের মামলায় একজন ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। নগরীতে তিন ছিনতাইকারীকে অস্ত্রসহ গ্রেফতারের এক মামলায় ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৮ মে) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফেরদৌস ওয়াহিদের আদালতে রাঙ্গুনিয়া থানায় দায়ের হওয়া অস্ত্র আইনের মামলায় এ রায় ঘোষণা হয়।
দণ্ডিত জাহাঙ্গীর আলম তালুকদারের বাড়ি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার উত্তরখীল গ্রামে। সেখানে মোগলের হাট-বাজারে মেসার্স জাহাঙ্গীর স্টোর নামে তার একটি মুদি দোকান ছিল।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অতিরিক্ত জেলা পিপি লোকমান হোসেন চৌধুরী সারাবাংলাকে জানান, ২০০৩ সালের ২ জুলাই জাহাঙ্গীরের স্টোরে অভিযান চালিয়ে পুলিশ একটি বন্দুক ও একটি এলজি উদ্ধার করে। ওই সময় গ্রেফতার করা হয় দোকান মালিক জাহাঙ্গীরকে। পরে রাঙ্গুনিয়া থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় ২০০৩ সালের ১৮ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ২০০৪ সালের ২৮ জুলাই আসামি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত জাহাঙ্গীরকে অস্ত্র আইনের ১৭ (ক) ধারায় ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেন। রায় ঘোষণার পর আদালতে হাজির থাকা দণ্ডিত জাহাঙ্গীরকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে, তিন ছিনতাইকারীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অস্ত্র মামলার রায় ঘোষণা করেছেন চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল ইসলাম ভূঁইয়া। দণ্ডিতরা হলো- মো.আরিফ, এনামুল হক ও মো. শামসুদ্দিন। তবে তিন আসামিই পলাতক আছেন।
আদালতের নথিতে আছে, ২০০৭ সালের ৩ মার্চ নগরীর নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির অংকুর স্কুলের সামনে ছিনতাইয়ের সময় তিন জনকে ধরে গণপিটুনি দেয় জনতা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তাদের কাছ থেকে একটি এলজি ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় পাঁচলাইশ থানার এস আই জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র দাখিলের পর ২০০৭ সালের ১৪ জুন তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষে চার জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।
আদালতের পেশকার ওমর ফুয়াদ সারাবাংলাকে জানান, তিন জনকে অস্ত্র রাখার দায়ে ১০ বছর এবং কার্তুজ রাখার দায়ে ৭ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। উভয় সাজা একসঙ্গে কার্যকর হবে। তাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া পৃথক দ্রুত বিচার আইনের মামলা বিচারাধীন আছে।
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম