৬৭ শতাংশের বেশি ফার্মেসীকর্মী অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার জানে না
১৮ মে ২০২২ ২০:৩২
ঢাকা: দেশের ওষুধ বিক্রয়কেন্দ্রের (ফার্মেসি) ৬৭ শতাংশের বেশি কর্মী অ্যান্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জানে না। দেশের আটটি বিভাগের ৪২৭টি ফার্মেসিতে জরিপ চালিয়ে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। এ পরিস্থিতিতে অ্যান্টিবায়োটিক চিহ্নিতকরণ সহজ করতে এবার মোড়ক (প্যাকেট) বদলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বাংলাদেশে চলমান অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) পরিস্থিতি ও এএমইউ ট্রেন্ডস শীর্ষক অনুষ্ঠানে ঔষুধ প্রশাসন অধিদফতরের (ডিজিডিএ) সহকারী পরিচালক ডা. এস এম সাবরিনা ইয়াছমিন এসব কথা বলেন।
বুধবার (১৮ মে) রাজধানীর বনানীতে হোটেল ওয়েস্টিনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখা; রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর); ফ্লেমিং ফান্ড এবং ইউকেএইড যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।
সভায় ডা. সাবরিনা ইয়াছমিন বলেন, বাংলাদেশে অন্যতম একটি সমস্যা হচ্ছে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে সেবনের প্রবণতা। অসুস্থ হলেই ফার্মেসি থেকে সাধারণ মানুষ ওষুধ কিনে সেবন করেন। দেশের আটটি বিভাগের ৪২৭টি ফার্মেসিতে জরিপ চালিয়ে আমরা দেখেছি, ৬৭ দশমিক ৩ শতাংশ ফার্মেসিকর্মী অ্যান্টিবায়োটিক সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন না। এ ছাড়া তারা সহজে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ চিনতেও পারেন না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ (বিএপিআই) ও ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর জানুয়ারিতে এক সভায় অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের লেবেলে লাল চিহ্ন ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়। পরে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এটি অনুমোদনও দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের এ সিদ্ধান্ত ওষুধশিল্পের মালিকেরা মেনে নিয়েছেন। এখন থেকে অ্যান্টিবায়োটিকের মোড়কে লাল রঙ থাকবে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে ওষুধ কোম্পানিগুলো নতুন মোড়কে অ্যান্টিবায়োটিক বাজারে আনবে।
ডা. সাবরিনা বলেন, মানুষ ও পশু— দুই ক্ষেত্রেই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধে এই চিহ্ন ব্যবহার করা হবে। অনেক কোম্পানি বর্তমানে তাদের ওষুধের লেভেলে এই চিহ্ন ব্যবহার করছে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, রোগ নিয়ন্ত্রণ (সংক্রামক) শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলামসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এসবি/টিআর