টানা দরপতনে ডিএসইর মূলধন কমেছে ২৯ হাজার কোটি টাকা
১৯ মে ২০২২ ১৬:৪০
ঢাকা: ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, শ্রীলংকার অর্থনৈতিক বিপর্যয়, দেশে ডলারের বাজারে অস্থিরতাসহ নানা আতঙ্কে পুঁজিবাজার টালমাটাল। প্রতিদিনই কমছে শেয়ারের দাম। পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারী। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) পুঁজিবাজারে দরপতন টানা সপ্তম দিনে গড়াল। এই সময় দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) বাজার মূলধন হারিয়েছে ২৮ হাজার ৫৬২ কোটি টাকা। একই সময়ে সূচক কমেছে ৪৪০ পয়েন্ট। একই চেহারা অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ১০ মে থেকে ১৯ মে পর্যন্ত পুঁজিবাজারে লেনদেন হওয়া কার্যদিবসের মধ্যে সাত দিনই বাজার ছিল নিম্নমুখী। গত ১০ মে লেনদেনের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৪৩৪ কোটি টাকা। টানা সাত দিন ধরে চলা দরপতনের কারণে ১৯ মে বৃহস্পতির ডিএসইর বাজার মূলধন ৫ লাথ ৯ হাজার ৮৭২ কোটি টাকায় নেমে এসে। ফলে সর্বশেষ সাদ লেনদেন দিবসে ডিএসই বাজার মূলধন হারিয়েছে২৮ হাজার ৫৬২ কোটি টাকা। অন্যদিকে, গত ১০ মে লেনদেনের শুরুতে ডিএসইর প্রধান সূচক ছিল ৬ হাজার ৬৯৮ পয়েন্ট। টানা সাত দিন দরপতনে ডিএসইর প্রধান সূচক ৪৪০ পয়েন্ট কমে বৃহস্পতিবার ৬ হাজার ২৫৮ পয়েন্টে নেমে আসে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৯ মে) ডিএসইতে ৩৮০টি কোম্পানির ১৭ কোটি ৫৭ লাখ ৯৯ হাজার ৬৭১টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া এসব কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ৬৭ টির, কমেছে ২৬৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫০টির দাম। দিন শেষে ডিএসইতে আর্থিক লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৬৬৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
এদিন ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৫১ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৫৮ পয়েন্টে নেমে আসে। এদিন ডিএসই শরিয়া সূচক ৮ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৩৮৩ পয়েন্ট, ডিএসইএ-৩০ সূচক ১৯ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৩১৬ পয়েন্টে নেমে আসে।
অন্যদিকে, এদিন অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ২৮৮টি কোম্পানির ৮৪ লাখ ৫২ হাজার ৩৭৯টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া এসব কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ৫৪টির, কমেছে ২০৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির কোম্পানির শেয়ারের দাম। দিন শেষে সিএসইতে ২৭কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এদিন সিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৩৬ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৪৩৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম