নীলা হত্যা: মিজানুরসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ১৩ জুন
১৯ মে ২০২২ ১৬:১৮
ঢাকা: সাভারে দশম শ্রেণির ছাত্রী নীলা রায়কে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মিজানুর রহমান চৌধুরীসহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ১৩ জুন দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত। মামলার বাকি দুই আসামি মিজানুর রহমানের বন্ধু সাকিব হোসেন ও সেলিম পাহলান।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) ঢাকার পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইসমত জাহানের আদালতে মামলাটি অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য নির্ধারিত ছিল। এসময় মিজানুরের পক্ষে তার আইনজীবী এ কে ব্যানার্জী শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে শুনানির পরবর্তী এ তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন।
এদিন মিজানুরের পক্ষে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী এ কে ব্যানার্জী। শুনানিতে তিনি বলেন, মিজানুর সম্পূর্ণ নির্দোষ, নিরপরাধ। হয়রানি করতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে মামলায় জড়ানো হয়েছে। প্রায় দুই বছর ধরে তিনি কারাগারে আছেন। মামলায় সাক্ষী আসার নিশ্চয়তা নেই। বিচার কবে শেষ হবে, তা নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। হাজতবাসের কারণে তার শিক্ষাজীবন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আইনি দিক বিবেচনায় যেকোনো শর্তে তার জামিন মঞ্জুরের প্রার্থনা করছি।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাইফুল ইসলাম জানান, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে তার জামিন আবেদনের বিরোধিতা করা হয়। পরে দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।
এদিন হাজতি আসামি মিজানুর রহমানকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। উচ্চ আদালত থেকে জামিনে থাকা সাকিব ও সেলিম পালোয়ানও আদালতে হাজির ছিলেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার থানার পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) নির্মল কুমার দাস গত ২৮ এপ্রিল ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে মিজানুর এবং তার সহযোগী সেলিম পালোয়ান ও সাকিব হোসেনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে মিজানুরের বাবা আব্দুর রহমান ও মা নাজমুন্নাহার সিদ্দিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অব্যাহতির আবেদন করে পুলিশ।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রিকশায় করে ভাইয়ের সঙ্গে হাসপাতালে যাওয়ার পথে নীলা রায়কে ছিনিয়ে নেন মিজানুর রহমান। তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। নীলা মানিকগঞ্জ জেলার বালিরটেক এলাকার নারায়ণ রায়ের মেয়ে। পরিবারের সঙ্গে সাভার পৌর এলাকার কাজী মোকমাপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকত। স্থানীয় এ্যাসেড স্কুলে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল সে।
নীলার পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে নীলাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন একই এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান। তিনি এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। নীলা তার প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার কারণেই তিনি হত্যা করেছেন নীলাকে।
এ ঘটনায় নীলার বাবা নারায়ণ রায় গত ২১ সেপ্টেম্বর রাতে মিজান, তার বাবা আব্দুর রহমান ও মা নাজমুন্নাহার সিদ্দিকাসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করে সাভার থানায়টি মামলা দায়ের করেন।
সারাবাংলা/এআই/টিআর