প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ কমিটি থেকে বাদ যাচ্ছেন বিদ্যোৎসাহী সদস্য
১৯ মে ২০২২ ২২:১২
ঢাকা: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে মৌখিক পরীক্ষার নির্ধারিত কমিটি থেকে বাদ যাচ্ছেন বিদ্বান বা বিদ্যোৎসাহী বা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সদস্য। তার বদলে কমিটিতে জেলা সদরের পিটিআই সুপারিনটেনডেন্টকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ কবির উদ্দীন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে— কেন্দ্রীয় প্রাথমিক শিক্ষক নির্বাচন কমিটির ১২৬তম সভার সুপারিশ মোতাবেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি জারি করা নির্দেশনায় আংশিক পরিবর্তন আনা হয়েছে।
শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় স্থানীয় প্রতিনিধি, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) প্রতিনিধির সঙ্গে স্ব-স্ব জেলার একজন বিদ্বান বা বিদ্যোৎসাহী বা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক (ডিপিই থেকে মনোনীত) প্রতিনিধি দেওয়ার বিধান রয়েছে। তবে সেটি পরিবর্তন করে জেলা সদরের পিটিআই, সুপারিনটেনডেন্টকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সরকারি প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষায় যে সব প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের জন্য আরও একটি জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে ডিপিই।
যেখানে প্রার্থীকে আসল সনদসহ অনলাইনে আবেদনের জন্য আপলোড করা ছবি, আবেদনের কপি, লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্র, নাগরিকত্ব সনদ, স্থায়ী ঠিকানার স্বপক্ষে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বা ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সনদপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র, পোষ্য সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নবম গ্রেডের গেজেটেড কর্মকর্তাকে দিয়ে সত্যায়িত করতে বলা হয়েছে।
এ সব সত্যায়িত কপি আগামী ২৩ মে’র মধ্যে নিজ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে আবশ্যিকভাবে জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র সংগ্রহ করতে হবে। এটি করতে ব্যর্থ হলে তাদের মৌখিক পরীক্ষার কার্ড ইস্যু করা হবে না।
উল্লেখ্য, গত ১২ মে ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২০ -এর প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। এতে ২২ জেলার ৪০ হাজার ৮৬২ জন প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।
দ্বিতীয় ধাপে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে।
সারাবাংলা/টিএস/একে