‘পরিবেশ দূষণের কারণে অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত ও মৃত্যু বাড়ছে’
২০ মে ২০২২ ০০:২৬
ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে অসংক্রামক রোগে মৃত্যুর অন্যতম দায় পরিবেশ দূষণের। এর কারণেই এসব রোগ বেড়ে যায়। আমাদের লাইফস্টাইল ও খাদ্যাভ্যাস এসব রোগের অন্যতম কারণ। এসব রোগের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এর কারণে দেশের হাসপাতালগুলোতে বেশ চাপ পড়ছে। এছাড়াও এসব কারণে আত্মহত্যাও বাড়ছে। ব্যক্তি পর্যায়ে ও রাষ্ট্রীয় ব্যয় বাড়ছে। এটি আমাদের সামগ্রিক উৎপাদনেও বাজে প্রভাব ফেলছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল (এনসিডিসি) আয়োজিত বার্ষিক গবেষণাপত্র প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, দেশে প্রতিবছর ১০ লাখ মানুষ স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করে। তার মধ্যে ৭০ শতাংশই (সাত লাখ মানুষ) মারা যায় অসংক্রামক রোগে। বর্তমানে দৈনিক অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ৯০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, দেশের স্বাস্থ্য বিভাগ অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় এগিয়ে গেছে। স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে নতুন অনেক সমস্যাও দেখা দিয়েছে। আমরা স্বাস্থ্য সেবায় উন্নয়নের মাধ্যমে সংক্রামক ব্যাধি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়েছি।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা টিবি-কলেরা-ডায়রিয়ার মতো সংক্রামক রোগ নিয়ে কাজ করেছি। এমনকি একটা মহামারি মোকাবিলা করেছি। এসব এখন নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু এসময় অসংক্রামক ব্যাধি বেড়ে গেছে, যা আজকের গবেষণাপত্রে আমরা জানতে পেরেছি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভালো চিকিৎসা দিতে গেলে গবেষণা দরকার। গবেষণায় সমস্যা ও এর সামাধান পাওয়া যায়। রিসার্চের ফাইন্ডিংসের মাধ্যমে নীতিনির্ধারকদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সুবিধা হয়। তাই আমাদের বেশি বেশি গবেষণায় নিয়োজিত হবে। আজ বেশকিছু গবেষণার ফলপ্রকাশ করা হয়েছে। এসবে ফল আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়নে, বিশেষত এনডিসি মোকাবিলায় জোরালো ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি।
মানুষের জীবনে চিকিৎসাসেবা খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, যে দেশে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভালো নয়, সে দেশের কাঠামো সুন্দর হয় না। ভালো স্বাস্থ্যসেবার জন্য প্রয়োজন অবকাঠামো, ওষুধ, স্বাস্থ্যকর্মী। একটি হাসপাতাল করলে দরকার হয় ডাক্তার, নার্সদের। আর উন্নত সেবা দিতে দরকার হয় গবেষণার। এই গবেষণা আমাদের কাজে লাগবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন। বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এনায়েত, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আহমেদুল কবীরসহ অন্যরা।
সারাবাংলা/এসবি/টিআর