রাজবাড়ী: রাজবাড়ীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের ১৩ সদস্যকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শুক্রবার (২০ মে) দুপুরে জেলা শহরের মুরগীর ফার্ম এলাকার মিজানুর রহমানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- মো. মাইনুল ইসলাম হাওলাদার, ইব্রাহীম হোসেন, সাগর আহম্মেদ, বিজয় বালা, মো. নুরুল হক হাওলাদার, মো. হারুন সরদার, রেজাউল করিম, আবু সালাম, মুনছুর মন্ডল, রুবেল মাহমুদ, মিজানুর রহমান, রুমান হাসান, ফরিদা বেগম।
আটকদের মধ্যে ফরিদা বেগম পরীক্ষার্থী ছিলেন।
এছাড়া এদের মধ্যে পাঁচজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রয়েছেন।
শুক্রবার রাত পৌনে ৯টায় জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিএসবি) ডিআইও-১ মো. সাইদুর রহমান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুক্রবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২০ (২য় পর্যায়) পরীক্ষা চলাকালে গোপন সংবাদে জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ প্রানবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস রাজবাড়ী শহরের মুরগীর ফার্ম এলাকার মিজানুর রহমানের বাড়িতে অভিযান চালায়। সে সময় ওই বাড়ি থেকে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের ১৩ সদস্যকে আটক করা হয়।
একইসঙ্গে তাদের কাছ থেকে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ফটোকপি, সাদা কাগজে হাতে লিখা প্রশ্নের উত্তর, পরীক্ষার্থীর প্রবেশ পত্রের ফটোকপি, বিভিন্ন গাইড বই, দু’টি ব্যাংকের ডেবিট কার্ড, নগদ ১০ হাজার টাকা, ২০টি মোবাইল ফোন ও পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের কাজে নিয়োজিত বিশেষ ধরনের ডিভাইসসহ (মাস্টার কার্ড সাদৃশ্য সিম সংযুক্ত ডিভাইস এবং ছোট এয়ারফোন) বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, চক্রের মূল হোতা পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের প্রশিক্ষক মো. মাঈনুল ইসলাম হাওলাদার। তিনি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দোষ স্বীকার করেন। তিনি নিজের সোনালী ব্যাংকে একাউন্টের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করেছেন বলেও জানান।
এ ব্যাপারে আটক সবার বিরুদ্ধে রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।