সুরমার পানি কমলেও ঝুঁকিতে কুশিয়ারার ৮টি বাঁধ, বিপাকে সিলেটবাসী
২১ মে ২০২২ ১১:২৭
সিলেট: বন্যাকবলিত সিলেটের প্রধান নদী সুরমার পানিতে শুক্রবার (২০ মে) সকাল থেকে ভাটার টান শুরু হলেও আরেক প্রধান নদী কুশিয়ারার পানি বাড়তে শুরু করেছে। এতে নতুন করে ৬ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। জকিগঞ্জ এলাকায় কুশিয়ারা নদীর ৮টি বাঁধ হুমকির মুখে রয়েছে। রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে এলাকাবাসী।
অন্যদিকে গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটে মানবেতর জীবনযাপন করছে সিলেট নগরীর উপশহর ও ঘাষিটুলাসহ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা। শুক্রবার রাতে রাতে কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হলেও বন্যাদুর্গত এলাকায় গ্যাস সংযোগ স্বাভাবিক হয়নি। জৈন্তাপুর, সিলেট সদর ও কানাইঘাট উপজেলার বন্যাদুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি, স্যানিটেশনের সংকট রয়েছে বলে জানিয়েছে বন্যার্তরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, উজানে বৃষ্টি কমলে নদীর পানি কমা অব্যাহত থাকবে। এতে প্লাবিত এলাকা থেকেও পানি নেমে যেতে শুরু করবে। নগরের জলমগ্ন কয়েকটি এলাকার পানিও কিছুটা কমেছে। তবে প্লাবিত উপজেলাগুলোতে পানি একই অবস্থায়ই রয়েছে। ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় পানি কিছুটা বেড়েছে।
এলাকার একজন বাসিন্দা বলেন, আমরা খুব দুর্যোগের মধ্যে আছি। বিদ্যুৎ-গ্যাস না থাকায় করুণ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (দায়িত্বপ্রাপ্ত) পল্লব হোম দাস জানান, ইতোমধ্যেই বন্যাকবলিত এলাকায় ৩৬ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ১ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ভয়াবহ বন্যাকবলিত ৯টি ইউপি এলাকার মানুষের জন্য এই ত্রাণ অপ্রতুল বলে তিনি মনে করেন। বেসরকারি সংস্থাসহ সবস্তরের মানুষকে বন্যার্তদের সাহায্যার্থে ত্রাণ তৎপরতায় এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
সারাবাংলা/এএম