সিরাজগঞ্জে বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই যমুনার পানি
২১ মে ২০২২ ১৯:১৩
সিরাজগঞ্জ : উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জে বেড়েই চলেছে যমুনা নদীর পানি। এতে যমুনার পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই করছে, অন্যদিকে বন্যার আশঙ্কা করছেন নদীপাড়ের মানুষ।
গত ১৮ ঘণ্টায় (গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শনিবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত) যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধ এলাকায় ২৪ দশমিক ২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১ দশমিক ১৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে যমুনা পাড়ের নতুন নতুন এলাকা। যমুনায় ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ প্রস্তুত করছে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক হাসানুর রহমান বলেন, ‘সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ এলাকায় পানির বিপৎসীমা ধরা হয় ১৩ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার। শনিবার (২১ মে) বিকেল ৩টায় সর্বশেষ পানি রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ১৮ সেন্টিমিটার। গত ১৮ ঘণ্টায় ২৪ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপদসীমার ১ দশমিক ১৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।’
তিনি আরও জানান, যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ এলাকায় গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৩৪ সেন্টিমিটার, গতকাল শুক্রবার বিকেলে ৩টায় পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৮৮ সেন্টিমিটার, আজ শনিবার (২১ মে) বিকাল ৩টায় সর্বশেষ পানি রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ১৮ সেন্টিমিটার। গত ১৮ ঘন্টায় ২৪ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপদসীমার ১ দশমিক ১৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে পানি বৃদ্ধির কারণে প্রতিদিনই নতুন নতুন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। এতে অনেক কৃষকই ঘরে নিতে পারেননি তাদের ফসল। তীব্র স্রোতের কারণে নদীর তীরবর্তী অঞ্চল জেলার কাজীপুর, সদর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালীর কোথাও কোথাও নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনে ঘরবাড়ি ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে জেলার কাজীপুর, শাহজাদপুর ও এনায়েতপুরে ভাঙনের তীব্রতা বেশি। এতে করে বন্যার আশঙ্কা করছেন যমুনা পাড়ের বাসীন্দারা। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন বলেন, ‘সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধ এলাকসহ সব এলাকাতেই যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও এখনো বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে আগামী আরও দু-তিনদিন এভাবেই পানি বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী তিনদিন যদি এভাবেই পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে তাহলে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে যমুনার পানি প্রবাহিত হবে। তবে ভাঙন রোধে ৩০ হাজার জিও ব্যাগ প্রস্তুত আছে। এ ছাড়াও আরও ৯৬ হাজার জিও ব্যাগ এর জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।’
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যমুনা নদীতে পানি বাড়ার কারণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। কিছু স্থানে নদী ভাঙন রয়েছে। তবে ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।’
সারাবাংলা/একে