টাঙ্গাইলে ঝড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত
২১ মে ২০২২ ১৯:৫২
টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদসহ পাঁচ শতাধিক কাঁচা ও আধপাকা ঘরবাড়ি বিধবস্ত হয়েছে। শনিবার (২১ মে) ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে অনেক গাছপালা উপড়ে গেছে। বিদ্যুতের তার ও খুঁটি লণ্ডভণ্ড হওয়ায় সকাল থেকেই চার ইউনিয়ন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
ঝড়ে গাছচাপায় স্কুলছাত্রীসহ একই পরিবারের তিন জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- উত্তর খিলগাতি গ্রামের আতাউর রহমান খান (৭০), তার ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম (৪৫) এবং নাতি এম কে. ডি. আর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী রিয়া (১৩)।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উত্তর-পূর্ব দিক থেকে প্রচণ্ড বেগে আসা ঝড়টি উপজেলার দেউলাবাড়ি ইনিয়নের দেউলাবাড়ি, উত্তর খিলগাতি ও মূখ্য গাংগাইর, সংগ্রামপুর ইইনয়নের বোয়ালী হাটবাড়ি, চাপড়ী, দেওজানা, খুপিবাড়ী ও লাহেড়ীবড়ি; রসুলপুর ইউনিয়নের রসুলপুর, ঘোনার দেওলী, মোমিনপুর, সিংহের চালা, শালিয়াবহ; লক্ষীন্দর ইউনিয়নের লক্ষীন্দর, মুরাইদ, চারিয়াবাইদ ও ফৈটামাড়িতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রসুলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমদাদ হোসেন বলেন, ‘মেম্বারদের নিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তালিকা প্রস্তুত করছি। স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করেছি। তবে দুপুর পর্যন্ত কেউ আসেনি।’
দেউলাবাড়ি ইউনিয়নের এম. কে. ডি. আর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হায়দার আলী জানান, ২টি টিনসেড বিল্ডিং সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ও আরেকটি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিল্ডিংয়ের দেয়াল ভেঙে লণ্ডভণ্ড হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে বিদ্যালয়টির প্রায় ৪০ লাখ টাকার সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ক্লাসে আসন দিতে না পাড়ায় খোলা আকাশের নিচে পাঠ দেওয়া হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ে বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্তের বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে দ্রুত বিদ্যালয়টি মেরামত প্রয়োজন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. এনামুল হক জানান, ৪টি ইউনিয়নে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের নামের তালিকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে। সে মোতাবেক ওনারা কাজ করছেন। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা দ্রুত পরিদর্শনে যাওয়া হবে।
সারাবাংলা/এমও