ঢাবি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা চেয়ে ভিসিকে শিক্ষকদের খোলা চিঠি
১৮ এপ্রিল ২০১৮ ২০:০২
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে খোলা চিঠি দিয়েছেন ১৯ জন শিক্ষক।
বুধবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে দফতরে গিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে এই খোলা চিঠি জমা দেন তারা।
এ সময় তারা এই ঘটনার জন্য মৌখিকভাবেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং উপাচার্য শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি যথাযথভাবে দেখবেন বলে তাদেরকে আশ্বস্ত করেন।
ওই চিঠিতে শিক্ষকরা উপাচার্য ভবনে হামলার নিন্দা জানান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন ও মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখার জন্য হলেও এই হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনার জন্য অনুরোধ জানান। পাশাপাশি ৮ এপ্রিল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও তারপরে ক্যাম্পাসে বিপুল পরিমাণে বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা।
খোলা চিঠিতে বলা হয়, নানান সূত্রে জানা যাচ্ছে কোটা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর নানান চাপ আসছে। ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়-ভীতি কাজ করছে এবং অনেকে ছাত্রাবাসে থাকতে অস্বস্তি বোধ করছেন।
এই ভীতি সুফিয়া কামাল হলে সবচেয়ে বেশি কাজ করছে। বিশেষ করে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া তিন শিক্ষার্থীকে ডিবি পুলিশ তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনার পর থেকে এই অস্বস্তি বৃদ্ধি পেয়েছে, ক্যাম্পাসে বিরাজ করছে চাপা উৎকণ্ঠা।
ওই চিঠিতে শিক্ষকরা আরও বলেন, অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা, সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট ঘিরে আইসিটি আইনে মামলা, ছাত্র নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ ইত্যাদির মাধ্যমে ভীতি সৃষ্টি করা হচ্ছে।
তারা এই পরিবেশ দূর করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানান। তারা ছাত্রাবাসগুলো পরিচালনার বিষয়টি ছাত্র সংগঠনের স্থলে শিক্ষকদের বা হল-প্রশাসনের আওতায় ফিরিয়ে আনারও অনুরোধ জানান।
বিশ্ববিদ্যলয়ের পরিবেশ স্বাভাবিক ও সুষ্ঠু রাখার জন্য, ডাকসু নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন সংগঠন ও নির্দলীয় শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি নিয়ে পূর্বের পরিবেশ পরিষদের মতো কেন্দ্রীয়ভাবে ও হলসমূহে কমিটি গঠনের পরামর্শ দেন তারা।
ওই খোলা চিঠিতে স্বাক্ষরকারী শিক্ষকরা হলেন- এম এম আকাশ, গীতি আরা নাসরীন, ফাহমিদুল হক, মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, সামিনা লুৎফা, মোহাম্মদ আজম, মোশাহিদা সুলতানা, কাজী মারুফুল ইসলাম, রোবায়েত ফেরদৌস, সায়মা আহমেদ, মুনাসির কামাল, সাজ্জাদ এইচ সিদ্দিকী, রুশাদ ফরিদী, মো. সেলিম হোসেন, হুমায়ুন কবীর, আব্দুর রাজ্জাক খান, সালমা চৌধুরী, দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন ও অতনু রাব্বানি।
সারাবাংলা/এমআইএস/