চুয়াডাঙ্গায় সড়কের পাশের মরা গাছগুলো মরণফাঁদ
২৩ মে ২০২২ ০৮:৪০
চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গায় সড়কের দুই পাশের মরা গাছগুলো মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মধ্যে থাকছেন সড়কের পথচারী ও যানবাহন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা শহরের প্রবেশমুখ ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা সড়কের মামুন ফিলিং স্টেশনের ওপরদিকে বড় একটি মরা আম গাছ রয়েছে। কোর্ট সড়কের ১ নম্বর পানির ট্যাংকের সামনে রয়েছে একটি বড় ভেটুল গাছ। সার্কিট হাউজের সামনের সড়কও ঝুঁকিপূর্ণ, ঝড়বৃষ্টি হলে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও দামুড়হুদা উপজেলার কোষাঘাটা বিল্ড ইটভাটার সামনে রাস্তার দুপাশে বেশ কয়েকটি মরা গাছ রয়েছে, যেগুলো মূর্তিমান আতঙ্ক।
এ বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে দেখা যায়, দামুড়হুদা উপজেলা শহরের বাসস্ট্যান্ডে দুটি বড় মেহগনি গাছ এবং কার্পাসডাঙ্গা রুটে দুটি বড় গাছ রয়েছে। দামুড়হুদা থেকে দর্শনার দিকে যেতেও আছে ছোট বড় অনেক মরা গাছ। জীবননগর উপজেলার উথলী ও মনোহরপুরে কয়েকটা বড় মরা ঝুঁকিপূর্ণ গাছ রয়েছে। শহরতলী দৌলাতদিয়ার বাসস্ট্যান্ড থেকে কুলপালা পর্যন্ত বেশ কয়েকটি মরা গাছ দেখা যায়।
চুয়াডাঙ্গা শহরের কোর্টপাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হালিম বলেন, দীর্ঘদিন মামলা চালিয়ে গাছগুলোর মালিকানা জেলা পরিষদ পেলেও, তা রক্ষায় তেমন ভূমিকা দেখা যায়নি। একের পর এক গাছ উপড়ে ও ডাল ভেঙে আহতের ঘটনা ঘটলেও তাতে কারো টনক নড়েনি।
শিক্ষক রফিকুল ইসলাম লিটন বলেন, চুয়াডাঙ্গা শহর ও জেলার বিভিন্ন সড়কের দুধারে সরকারি ঝুঁকিপূর্ণ মরা গাছগুলো জনস্বার্থে অবিলম্বে অপসারণ করা প্রয়োজন। এছাড়া সড়কের দুপাশে সমিল ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে গাছের বড় বড় গুঁড়ি ফেলে রেখে সড়ক চলাচলের অনুপোযুক্ত করে রেখেছে। এতে করে মানুষের প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটে থাকে। সরকারি টানাপোড়নের কারণে মানুষের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। গাছগুলো দ্রুত অপসারণে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, যেসব মরা ও ঝুঁকিপূর্ণ গাছ রয়েছে, সেগুলো অপসারণের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়গুলো নিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় বিস্তারিত আলোচনাও করা হয়েছে।
সারাবাংলা/এএম