ইরানের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা
২৩ মে ২০২২ ১০:০৭
ইরানি রেভ্যুলেশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) কর্নেল সাইয়াদ খোদাই আততায়ীদের গুলিতে মারা গেছেন। দুই বন্দুকধারী মোটরসাইকেলে এসে তাকে পাঁচ বার গুলি করে। সে সময় তিনি বাড়ির সামনে একটা গাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
বিরল এই হত্যাকাণ্ডের দায় এখন পর্যন্ত কেউ স্বীকার করেনি। বন্দুকধারীদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য সম্পাদক সেবাস্টিয়ান উশার বলেন, ২০২০ সালে ইরানের এক শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যার পর এই প্রথম বড় কোনো নিরাপত্তাভঙ্গের ঘটনা ঘটল।
কর্নেল খোদাই ছিলেন এলিট কুদস বাহিনীর জ্যেষ্ঠ সদস্য। তারা রেভ্যুলেশনারি গার্ডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিদেশে অভিযান পরিচালনা করে। এই বাহিনী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন এবং মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে নানান হামলার পেছনে রয়েছে বলে অভিযোগ করে থাকে আমেরিকা। কর্নেল খোদাই কুদস ফোর্সের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা যাকে হত্যা করা হলো।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সায়িদ খতিবজাদেহ বলেছেন, কর্নেল খোদাই ইরানের ঘোরতর শত্রুদের হাতে মারা গেছেন। তারা আন্তর্জাতিক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্য।
এর আগে, এ ধরণের উচ্চ পর্যায়ের হত্যাকাণ্ডে ইসরাইলকে দায়ী করত ইরান।
অন্যদিকে, এই হত্যাকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ইরানের সরকারি গণমাধ্যম বলছে, রেভ্যুলেশনারি গার্ড ইসরাইলি গুপ্তচরদের একটি নেটওয়ার্কের সদস্যদের গ্রেফতার করেছে। যদিও, এ ব্যাপারে ইসরাইলের কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
২০২০ সালে ইরানের সবচেয়ে ক্ষমতাধর মিলিটারি কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ইরাকে এক মার্কিন বিমান হামলায় মারা যান। তিনি ইরানের মিলিটারি অপারেশনকে মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। তার মৃত্যু ওয়াশিংটন এবং তেহরানের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি করে। ওই বছরেই পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেহকে তেহরানে গুলি করে মারা হয়।
সারাবাংলা/একেএম