Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পদ্মাসেতুর নির্মাণব্যয় জানতে চেয়েছেন মির্জা ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৩ মে ২০২২ ২০:০৭

ঢাকা: পদ্মাসেতুর নির্মাণব্যয় জানতে চেয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার (২৩ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ দাবি জানান।

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কটুক্তির প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করে ঢাকা মহানগর বিএনপি (উত্তর-দক্ষিণ)।

সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণ জানতে চায়- পদ্মাসেতুর জন্য তাদের কাছ থেকে কত টাকা নিয়েছেন। কত টাকা এই পদ্মাসেতুতে ব্যয় করেছেন, আর কত টাকা দুর্নীতি করে পকেটে ভরেছেন। জনগণ জানতে চায়, এ দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পদ্মাসেতুর জন্য কত টাকা ঋণ শোধ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আজ শেখ হাসিনা পদ্মাসেতুর বড়াই করছেন। আমরা বলতে চাই, পদ্মাসেতু আপনার একার না, আওয়ামী লীগের পৈত্রিক সম্পত্তি না। জনগণের কাছ থেকে যে ট্যাক্স নিয়েছেন, সেই ট্যাক্সের টাকা দিয়ে পদ্মাসেতু নির্মাণ হয়েছে এবং এখানে যে দুর্নীতি করেছেন, তা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শেখ হাসিনার এই উক্তিকে (খালেদা জিয়াকে টুস করে পদ্মাসেতুর ওপর থেকে ফেলে দেওয়ার উক্তি) ধিক্কার জানাই, নিন্দা জানাই, প্রতিবাদ জানাই। আজ সমস্ত দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে ধিক্কার জানাচ্ছে, নিন্দা জানাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আপনারা হত্যার হুমকি দেন। যেমন করে হোক, জোর করে হোক, ক্ষমতা দখল করে একটি দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন; তার মুখ থেকে এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন, এই ধরনের সন্ত্রাসী বক্তব্য কীভাবে আসে? আমরা ভাবতেও পারি না। কোনো সভ্য সমাজে, গণতান্ত্রিক সমাজে এই ভাষা ব্যবহার চিন্তাই করা যায় না।’

বিজ্ঞাপন

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা খুব পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, আপনারা আপনাদের এই বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চান জনগণের কাছে। অন্যথায় জনগণ আপনাদের ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ দেবে না। জনগণ টেনে হিঁচড়ে আপনাকে ক্ষমতার তখতে তাউস থেকে নামাবে।’

তিনি বলেন, ‘এসব উক্তি (খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কটুক্তি) কেন করেছেন তিনি (শেখ হাসিনা)? তিনি করেছেন এই জন্য যে, তিনি এখন নার্ভাস হয়ে গেছেন। তিনি দেখতে পারছে যে, তার ক্ষমতার দিন শেষ, তিনি দেখতে পারছেন যে, এখন আর তিনি সামনে ক্ষমতায় আসতে পারবেন না। তার ক্ষমতার তখতে-তাউস টলমল হয়েছে গেছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ আওয়ামী লীগ উন্নয়ন উন্নয়ন করে চিৎকার করে। কীসের উন্নয়ন, কার উন্নয়ন করেছেন? উন্নয়ন করেছেন পিকে হালদারের, উন্নয়ন করেছেন শিক্ষামন্ত্রীর ভাইয়ের, উন্নয়ন করেছেন ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের (সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী) ভাইয়ের।’

তিনি আরও বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের চাপে সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে গেছে। আমাদের কৃষক-শ্রমিক, যারা দিন আনে দিন খায় তারা আজ হিমশিম খাচ্ছেন না শুধু, তাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তারা জীবন-যাপন করতে পারছে না। আপনাদের (সরকার) কোনো অসুবিধা হয় না। কারণ, আপনি (শেখ হাসিনা) তো আজকে একটা দুর্গের মধ্যে নিজেকে বন্দি করে রেখেছেন। নিজেই বলেছেন সেদিন ‘আমি তো আমার ঘরেই বন্দি’। আপনি স্বেচ্ছায় বন্দি হয়েছেন। কারণ, আপনি জনগণকে ভয় পান। তাই জনগণের সামনে আপনি আসেন না। জনগণের সামনে আসলে আপনি জনগণের ভাষা বুঝতে পারতেন, জনগণ কী বলতে চায় তা বুঝতে পারতেন।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর পরিচালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- বিএনপির উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, হাবিবুর রহমান হাবিব, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, আবদুস সালাম আজাদ, নাজিম উদ্দিন আলম, কামরুজ্জামান রতন, মীর সরফত আলী সপু, শামীমুর রহমান শামীম, মীর নেওয়াজ আলী, যুবদলের সাইফুল আলম নিরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল, ছাত্র দলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন শিরিন সুলতানা, হেলেন জেরিন খান, সেলিমুজ্জামান সেলিম, ইশরাক হোসেন, সুলতান, সালাহউদ্দিন টুকু, মোরতাজুল করীম বাদরু, নুরুল ইসলাম নয়ন, মামুন হাসান, এসএম জাহাঙ্গীর,হাসান জাফির তুহিন, মোস্তাফিজুর রহমান, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ইয়াসীন আলী, ওয়াহিদ বিন ইতিয়াজ বকুল, রফিকুল ইসলাম মাহতাব, নজরুল ইসলাম তালুকদার, নবী উল্লাহ নবী, ইউনুস মৃধা, সাইফ মাহমুদ জুয়েল, রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রমুখ।

সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম

টপ নিউজ নির্মাণব্যয় পদ্মাসেতু মির্জা ফখরুল

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

শরৎ বাংলাদেশের কোমল স্নিগ্ধ এক ঋতু
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৪

সম্পর্কিত খবর