Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ১৩ দেশের নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৩ মে ২০২২ ২২:৩১

ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের ১৩ দেশকে নিয়ে নতুন অর্থনৈতিক জোট গড়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইন্দো-প্যাসিফিক অর্থনৈতিক কাঠামো (আইপিইএফ) নামক জোটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরা বিশ্বে ৪০ শতাংশ মোট দেশজ উৎপাদন করে থাকে। এ জোটে ভারতও রয়েছে।

নতুন এই অর্থনৈতিক কাঠামোর সদস্য দেশগুলো হলো— যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, নিউজিল্যান্ড ও ব্রুনেই। এ জোটে অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র তাইওয়ান নেই। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জোট আসিয়ানে চীন ঘেঁষা দেশগুলোও, যেমন মিয়ানমার এ জোটের সদস্য নয়।

নতুন এই জোটের ১৩টি দেশের মধ্যে ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া বাকি ১১টি দেশ রিজিওনাল কম্প্রেহেনসিভ ইকোনোমিক পার্টনারশিপ (আরসিইপি) এর সদস্য। উল্লেখ্য যে, আরসিইপি’র অন্যতম সদস্য চীন।

নতুন জোটের ৭ সদস্য—জাপান, ব্রুনেই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড—কম্প্রেহেনসিভ অ্যান্ড প্রগ্রেসিভ এগ্রিমেন্ট ফর ট্র্যান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ (সিপিটিপিপি) এর সদস্য। এই জোট থেকে ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিল।

সোমবার (২৩ মে) টোকিওতে আইপিইএফ জোটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সদস্য দেশের নেতারা অংশ নেন। এতে বক্তৃতাকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, একুশ শতকের অর্থনীতির ভবিষ্যত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে লেখা হবে। আমরা নতুন নিয়ম লিখছি।

বাইডেন বলেন, আমাদের সাফল্যের চাবিকাঠি হবে কাঠামোর উচ্চ মান এবং অন্তর্ভুক্তির উপর জোর দেওয়া। তিনি জানান, আইপিইএফ জোটে অন্য দেশগুলোরও যোগ দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ছাড়াও টোকিওতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সরাসরি যোগ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অন্য দেশগুলোর নেতারা অনলাইনে অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র এই জোটের অন্য সদস্যদের সঙ্গে কয়েকটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে সহযোগিতা গভীর করবে। এই ক্ষেত্রগুলো হলো—টেকসই সাপ্লাই চেইন, পরিচ্ছন্ন জ্বালানি, ট্যাক্স কাঠামো, দুর্নীতি রোধ এবং বাণিজ্য। বাণিজ্য সহযোগিতার মধ্যে রয়েছে, ডিজিটাল অর্থনীতি, উদীয়মান প্রযুক্তি, শ্রম আইন, অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা এবং নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের মতো বিষয়।

বাইডেন প্রশাসনের আশা, আইপিইএফ জোটের মাধ্যমে এশিয়াতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উপস্থিতি বাড়বে। এতে চীনের প্রভাব মোকাবিলায় সুবিধা পাবে ওয়াশিংটন।

সারাবাংলা/আইই

ইন্দো-প্যাসিফিক অর্থনৈতিক কাঠামো টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ভূতের গলির বাসায় মিলল বৃদ্ধের মরদেহ
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:০০

সম্পর্কিত খবর