যমুনা ব্যাংকের ঋণ নিয়ে প্রতারণা, আমান গ্রুপের ৩ মালিক কারাগারে
২৩ মে ২০২২ ২২:২০
রাজশাহী: যমুনা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে আমান গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং দুই পরিচালককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৩ মে) দুপুরে রাজশাহীর অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. রেজাউল করিম এ আদেশ দিয়েছেন।
কারাগারে যাওয়া তিন আসামি আপন ভাই। তারা হলেন— ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম এবং দুই পরিচালক শফিকুল ইসলাম ও তৌফিকুল ইসলাম। রাজশাহী মহানগরীর শিরোইল এলাকায় তাদের বাড়ি।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের আদালত পরিদর্শক আবুল হাশেম বলেন, আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। সেই মেয়াদ শেষে উচ্চ আদালতের আদেশ অনুযায়ী সোমবার তারা নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। তবে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠান।
জানা গেছে, ২০১৯ সালে যমুনা ব্যাংকের রাজশাহী শাখার তৎকালীন ব্যবস্থাপক মনজুরুল আহসান শাহ এই তিন জনের বিরুদ্ধে নগরীর শাহমখদুম থানায় মামলাটি করেছিলেন। ঋণ নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে ৪২০ ও ৪০৬ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
যমুনা ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মেসার্স আরএসঅ্যান্ডটি ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীও তৌফিকুল ইসলাম। তিনি এই প্রতিষ্ঠানের নামে যমুনা ব্যাংকের রাজশাহী শাখা থেকে ৮৮ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। তার এই ঋণের জামিনদার ছিলেন ভাই রফিকুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম। ঋণ নেওয়ার পর তারা জাল জালিয়াতির মাধ্যমে বন্ধকি সম্পত্তি অন্যত্র হস্তান্তর করেন। ৮৮ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ হয়ে যায়।
এ নিয়ে ২০১৯ সালে যমুনা ব্যাংকের রাজশাহী শাখার তৎকালীন ব্যবস্থাপক মনজুরুল আহসান শাহ এই তিন জনের বিরুদ্ধে নগরীর শাহমখদুম থানায় প্রতারণার মামলা করেন। এই মামলায় রাজশাহীর আদালত তিন জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আমান গ্রুপের বিজনেস কো-অর্ডিনেটর মনিরুল ইসলাম বলেন, যমুনা ব্যাংকের একটি মামলায় চেয়ারম্যান ও দুই পরিচালক স্যার জামিন নিতে গিয়েছিলেন। আদালত তা নামঞ্জুর করে কারগারে পাঠিয়েছেন। মামলাটি কী ছিল, সেটি আমি জানি না।
সারাবাংলা/টিআর