Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের অর্থ পাচারকারীদের চিহ্নিতের নির্দেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৩ মে ২০২২ ২২:৫৮

ফাইল ছবি: হাইকোর্ট

ঢাকা: ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, ধামাকা, আলেশা মার্ট, কিউকম, আলাদীনের প্রদীপ, দালাল প্লাসের মতো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কী পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে তার পরিমাণ নির্ধারণ এবং এর সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে কাদের অবহেলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, তাদের চিহ্নিত করতে সরকারের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি ই–কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রতারণা রোধে বিাবদীদের নিষ্ক্রিয়তা ও বর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং ক্ষতিগ্রস্তদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোর কার্যাবলী তদারকি করার জন্য সরকারকে কেন একটি স্বাধীন নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠনের নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৩ মে) এ সংক্রান্ত তিনটি রিটের একসঙ্গে শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

বাণিজ্য সচিব, অর্থ সচিব, তথ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুর্নীতি দমন কমিশন, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান এবং সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির, মোহাম্মদ শিশির মনির ও মো. আনোয়ারুল ইসলাম। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের (বিএফআইইউ) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শামীম খালেদ আহমেদ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারি তিনটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তাপস কুমার পাল। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর অনলাইন বাণিজ্যের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় জাতীয় ডিজিটাল কমার্স নীতি অনুযায়ী একটি স্বাধীন ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আনোয়ারুল ইসলাম বাধন। একই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর দুই ই-কমার্স গ্রাহকের পক্ষে আরেকটি রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। একই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর ই-কমার্স প্লাটফর্ম ‘ই-অরেঞ্জ ডটশপ’-এর ৩৩ জন গ্রাহকের পক্ষে অপর রিট পিটিশনটি দায়ের করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

রিটে ইভ্যালি, আলেশা মার্ট, ই-অরেঞ্জ, ধামাকা, কিউকম, আলাদীনের প্রদীপ ও দালাল প্লাসের মতো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের লাখ লাখ গ্রাহকের লোকসান ও গুরুতর আর্থিক ক্ষতি নির্ণয়ে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারপতির নেতৃত্বাধীন অনুসন্ধান কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়। আজ তিনটি রিট পিটিশনের একসঙ্গে শুনানি করে আদালত রুলসহ একাধিক নির্দেশনা দেন।

সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম

অর্থপাচারকারী ই-কমার্স চিহ্নিত


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর