হাইকোর্টের সাজার বিরুদ্ধে হাজী সেলিমের আপিল
২৪ মে ২০২২ ১৪:৪১
ঢাকা: অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় হাইকোর্টের সাজার বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) দায়ের করেছেন সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী মোহাম্মদ সেলিম। আপিল আবেদনে হাইকোর্টের ১০ বছরের সাজা বাতিল চেয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামিনও চাওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ মে) আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়।
হাজী মোহাম্মদ সেলিমের আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আপিল আবেদনে হাজী সেলিমের জামিন চাওয়া হয়েছে। আগামী রোববার (২৯ মে) এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে।
এর আগে গত ২২ মে দুর্নীতির মামলায় ১০ বছর সাজাপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী সেলিম বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে যেকোনো শর্তে জামিনের আবেদন করেন।
এদিন দুপুর ২টার দিকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক শহিদুল ইসলামের আদালত হাজী সেলিমকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠায়। কারাগারে উন্নত চিকিৎসা ও প্রথম শ্রেণির ডিভিশন চেয়ে আরও দুটি আবেদন করা হয়। জামিন না দিয়ে এরপর সাজা ভোগের জন্য তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এরপর সোমবার সকালে (২৩ মে) হাজী সেলিমকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে এনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের ৫১১ নম্বর কেবিনে কারারক্ষীদের প্রহরায় চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।
এর আগে গত ২৫ এপ্রিল বিকেল ৩টার দিকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক শহিদুল ইসলামের আদালতে হাইকোর্ট থেকে মামলার নথি এসে পৌঁছায়। এদিন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে রায়ের নথি পাঠানো হয়।
এরও আগে ২০২১ সালের ৯ মার্চ হাজী সেলিমকে বিচারিক (নিম্ন) আদালতে দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার রায় বহাল রাখেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় দেন। এরপর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশ পায় রায়।
এ ছাড়া জরিমানার টাকা অনাদায়ে হাজী সেলিমকে আদালত আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন এবং রায় পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। আত্মসমর্পণ না করলে জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন। এ ছাড়া জব্দ করা হাজী সেলিমের সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করতে বলেন আদালত।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এসএসএ