কোভিড: আড়াই কোটি ‘ভুলতথ্য’ সরালো ফেসবুক
২৪ মে ২০২২ ২০:৫৯
নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) বৈশ্বিক মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত করোনা সংক্রান্ত আড়াই কোটির বেশি ভুল তথ্য সরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছে সামাজিক যোগাযগের জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক।
মঙ্গলবার (২৪ মে) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ফেসবুকের কর্ণধার প্রতিষ্ঠান মেটা’র এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মিসইনফরমেশন প্রডাক্ট পলিসি ম্যানেজার অ্যালিস বুডিসাত্রিও এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ২০২০ সালের মার্চ থেকে এ পর্যন্ত ২ কোটি ৫০ লাখের বেশি কনটেন্ট মুছে দেওয়া হয়েছে। যা কোভিড ও ভ্যাকসিন বিষয়ক তথ্য সংক্রান্ত ফেসবুকের নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে।
বাংলাদেশের এ ধরনের কত তথ্য মুছে দেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যালিস বলেন, দেশভিত্তিক নির্দিষ্ট তথ্য তার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। কারণ তথ্য ক্রম পরিবর্তনশীল।
নিজেদের প্ল্যাটফর্মে ভুল তথ্য ছড়ানো ঠেকাতে ফেসবুক তিন ধরনের ব্যবস্থা নেয় জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, যে কনটেন্ট ও অ্যাকাউন্ট কমিউনিটি স্টান্ডার্ড এবং নীতিমালা লঙ্ঘন করে সেগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়।
ভুল তথ্য ঠেকানোর জন্য ফ্যাক্টচেকার ও বিশেষজ্ঞদের দ্বারস্থ হওয়ার প্রক্রিয়াও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন মেটা কর্মকর্তা অ্যালিস।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী ৮০টি ফ্যাক্ট-চেকিং সহযোগী প্রতিষ্ঠান ৬০টির বেশি ভাষায় ফেসবুকের জন্য কাজ করছে। ফ্যাক্টচেকে ভুয়া ও ভুল তথ্য উঠে আসলে ওই কনটেন্টগুলো নিউজফিডে কম দেখানো হয়, যার ফলে কম মানুষের কাছে পৌঁছায়।
একইসঙ্গে, যেসব পেজ ও ডোমেইন অনবরত মিথ্যা খবর ছড়ায়, তাদের মনিটাইজিং ও অ্যাডভারটাইজিংয়ের সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন মেটা’র ওই কর্মকর্তা।
ফেসবুকের অংশীদার হিসেবে ফ্যাক্টচেকার সহযোগী প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের প্রক্রিয়া সম্পর্কে এক প্রশ্নের উত্তরে অ্যালিস বলেন, সব ফ্যাক্টচেকার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাক্টচেকিং নেটওয়ার্কের মাধ্যমে স্বীকৃত। এই নেটওয়ার্ক প্রতি বছর কঠোর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রত্যায়ন করে থাকে।
তিনি বলেন, কোনো পোস্ট বা ছবি-ভিডিও’র বিরুদ্ধে রিপোর্ট করা হলে ফেসবুক শুরুতে নিজেদের পলিসির সঙ্গে মিলিয়ে নেয়। এটি ঘৃণাসূচক কথা, নির্যাতনমূলক ও ক্ষতিকারক কি না, তা দেখা হয়।
কোনো কন্টেন্ট যদি গুজব মনে হয়, তাহলে সেটাকে থার্ড পার্টি ফ্যাক্টচেকারদের কাছে পাঠানো হয়। এরপর কনটেন্টের ওপর লেবেল দেওয়া বা তার বিস্তার কমিয়ে দেওয়া হয়, বলেন অ্যালিস।
তবে, কনটেন্ট সরানোর ক্ষেত্রে ফেসবুকেরও যে ভুল হয়, তা স্বীকার করে নিয়ে মেটা কর্মকর্তা অ্যালিস বলেন, কোনো কোনো সময় ভুল নিশ্চয়ই হতে পারে। এ কারণে আপিলের সুযোগ রাখা হয়েছে।
সারাবাংলা/একেএম