Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিড়ি শিল্প ধ্বংসের প্রতিবাদে শ্রমিকদের সমাবেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৪ মে ২০২২ ২১:৫৩

ঢাকা: বিড়ি শিল্প বন্ধে বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানি ও দেশীয় চক্রান্তকারীদের প্রতিহত করা এবং আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে বিড়িতে শুল্ক কমানোসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিড়ি শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ মে) সিরাজগঞ্জ স্বাধীনতা চত্বর পৌর মুক্তমঞ্চে সিরাজগঞ্জ জেলা বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের আয়োজনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সমাবেশে আগামী বাজেটে বিড়িতে শুল্ক কমানো, বিড়ির ওপর অর্পিত অগ্রিম ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহার, সরেজমিনে পরিদর্শন ছাড়া বিড়ি কারখানার লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ করা, কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে নকলবাজদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করার দাবি জানান শ্রমিকরা। সমাবেশ শেষে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন শ্রমিক নেতারা।

বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত লাভলুর সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সিরাজগঞ্জ জেলা বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হাজী মো. আব্দুর রাজ্জাক। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান।

সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এম কে বাঙ্গালী, কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দিন (বিএসসি), সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুরসহ অন্যরা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশের প্রাচীন শ্রমঘন বিড়ি শিল্পে সমাজের অসহায়, হতদরিদ্র, স্বামী পরিত্যক্তা, নদী ভাঙন কবলিত জনগণ, শারীরিক বিকলাঙ্গসহ লাখ লাখ সুবিধাবঞ্চিত শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। গত কয়েক দশক ধরে দেশের প্রাচীন শ্রমঘন এ শিল্পটি ধ্বংসের চক্রান্ত করা হচ্ছে। ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি (বিএটিবি) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কিছু অসাধু কর্মকর্তা বিড়ি শিল্প ধ্বংসের চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছেন। তারা বিড়ির ওপর ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

বক্তারা বলেন, বিড়ি কারখানার মালিকরা এই মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা সহ্য করতে না পেরে কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে বিড়ি কারখানায় নিয়োজিত শ্রমিকরা কাজ হারিয়ে পরিবার নিয়ে অনাহারে, অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছেন। শুল্ক বেড়ে যাওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ীরা শুল্ক ফাঁকি দিতে জাল ব্যান্ডরোল ও ব্যান্ডরোলবিহীন নকল বিড়ি তৈরি করে বাজারজাত করছে। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

বক্তারা আরও বলেন, বিড়ি শিল্প দেশীয় শ্রমিকবান্ধব শিল্প। বিড়ি শতভাগ দেশীয় প্রযুক্তিনির্ভর শিল্প। এতে ব্যবহৃত সব কাঁচামাল দেশেই উৎপাদিত। অন্যদিকে সিগারেটের সবকিছু বিদেশ থেকে আমদাদি করা ও প্রযুক্তিনির্ভর। বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানি এ দেশের মানুষের ফুসফুস পুড়িয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করছে। ব্রিটিশ বেনিয়াদের দোসর ও নব্য মীরজাফর আত্মা ও প্রজ্ঞা বিড়ি শিল্প ও শ্রমিক ধ্বংস করতে বিভিন্ন অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি বিড়ি শ্রমিকদের নিয়ে গবেষণার নামে তারা বহুজাতিক কোম্পানির সাজানো নাটকের মঞ্চায়ন করে মনগড়া ফলপ্রকাশের মাধ্যমে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। বিড়ি শিল্প ধ্বংসের চক্রান্ত বন্ধ করা না হলে শ্রমিকদের নিয়ে সব চক্রান্ত প্রতিহত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বিড়ি শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর

প্রতিবাদ সমাবেশ বিড়ি শিল্প বিড়ি শিল্পের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর