Wednesday 20 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রকাশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৪ মে ২০২২ ২৩:১৭

ঢাকা: বাংলাদেশের জন্য স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট (এসইএআর) প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি, বর্তমান পরিস্থিতি ও দেশে স্টার্টআপ সংস্কৃতিবান্ধব নীতি ও বাংলাদেশের ডিজিটাল ভবিষ্যতের সম্ভাব্য, দিকনির্দেশনার সুগভীর বিশ্লেষণ ও পূর্ণাঙ্গ ধারণা প্রকাশ পেয়েছে।

আইসিটি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার (২৪ মে) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে সংস্থাটির এশিয়া প্রশান্তমহাসগরীয় অঞ্চলের ইকোনোমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন (ইউএনইএসসিএপি) এবং হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ যৌথ অংশীদারিত্বে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিবেদনটি বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে সরকারি ও বেসরকারি স্টেকহোল্ডারদের সাথে একাধিক সংলাপ, বিস্তৃত তথ্য পর্যালোচনা, সাক্ষাৎকার এবং বাংলাদেশের স্টার্ট-আপ অর্থনীতিতে প্রধান অংশগ্রহণকারীদের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে।

বাংলাদেশ স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের এই ব্যাপক মূল্যায়ন পরিচালনা করেছে ইএসসিএপি (স্ক্যাপ)। বিদ্যমান পরিস্থিতির মধ্যে যে শূন্যতা রয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে প্রাসঙ্গিক সক্ষমতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তাগুলো মূল্যায়ন করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের স্টার্টআপগুলো ৪৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি বিনিয়োগপ্রাপ্তিকে স্বাভাবিক ফলাফল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে জেন্ডার লেন্স ইনভেস্টমেন্ট (জিএলআই) সম্পর্কে একটি বিশেষ অনুসন্ধানও রয়েছে।

এছাড়া প্রতিবেদনে নারী স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠাতা ও উদ্যোক্তাদের চ্যালেঞ্জের ওপর আলোকপাত করার অপরিহার্যতা তুলে ধরে তাদের অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি এবং ব্যবসায়িক অনুশীলনের প্রয়োজনীয়তা ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামীতে সরকারের প্রাসঙ্গিক স্টার্টআপ নীতি প্রণয়নের সময় এই প্রতিবেদনটি প্রামাণ্য দলিল হিসেবে কাজ করবে ।

বিজ্ঞাপন

ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নকে অবিস্মণীয় উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির অসাধারণ সাফল্যের পর এবার চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নিজেদের মানিয়ে নিতে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প গ্রহণ করেছি। এই রূপকল্প বাস্তবায়নের জন্য আমরা বাংলাদেশে একটি প্রাণবন্ত স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা হচ্ছে। আশা করছি, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ আয়ের ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপকল্প বাস্তবায়িত হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে আমাদের উদ্যোক্তা ইকোসিস্টেমে দেশেই উদ্ভাবনী সমাধান এবং সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে হাজার হাজার স্টার্টআপ গড়ে উঠবে। তারা মানুষের জীবনে অভাবনীয় পরিবর্তন আনবে। এর ফলে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে অন্তত পাঁচটি ইউনিকর্ন দেখার বিষয়ে আমরা আশাবাদী।

প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল ও নির্বাহী সেক্রেটারি মিস আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাহবানা বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে উদ্ভাবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হচ্ছে স্টার্টআপ। যেহেতু বাংলাদেশের স্টার্টআপ সম্প্রদায় বিভিন্ন খাতে অভূতপূর্ব প্রবৃদ্ধির অভিজ্ঞতা অর্জন করছে, তাই এই বৃদ্ধিকে টেকসই এবং ন্যায়সঙ্গতভাবে সমর্থন করার জন্য সামগ্রিক ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করার এখনই সঠিক সময়।

থাইল্যান্ডের  ইউএনইএসসিএপি অফিসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও ইউএনইএসসিএপি’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর

স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর