টিকটকের মাধ্যমে তরুণীকে ভারতে পাচারের মূল হোতা আটক
২৪ মে ২০২২ ১৬:৩২
হবিগঞ্জ: ফেসবুক ও টিকটকের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বিয়ে করে স্ত্রীকে ধর্ষণ ও ভারতে ভারতে পাচারের ঘটনায় মূল হোতা সোহেলকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার (২৪ মে) সকাল ১০টায় মৌলভীবাজারের সদর থানা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯-এর হবিগঞ্জ ক্যাম্প।
দুপুরে র্যাব-৯-এর হবিগঞ্জ ক্যাম্প কমান্ডার লেফটেনেন্ট কমান্ডার নাহিদ হাসান তার কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে বলেন, পাচারের শিকার ওই নারী বাদী হয়ে ২১ মে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানায় সোহেলসহ পাঁচ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরদিন ২২ মে মামলার তিন আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। একদিন পর মূল হোতা সোহেলকে গ্রেফতার করল র্যাব।
র্যাব কমান্ডার নাহিদ হাসান জানান, হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার বেতাপুর গ্রামের কিবরিয়ার ছেলে সোহেল মিয়ার (২৫) সঙ্গে তিন বছর আগে পরিচয় হয় পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার রুকশিপাড়া গ্রামের ওই তরুণীর। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর সোহেল তাকে পাচারের উদ্দেশ্যে কৌশলে ডেকে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে নিয়ে যান। সেখানে তাকে আটকে রেখে ধর্ষণ ও দেহ ব্যবসা করতে বাধ্য করেন।
নাহিদ হাসান আরও বলেন, এ বছরে জানুয়ারি মাসে কৌশলে দেশে পালিয়ে আসেন ওই তরুণী। এরপর সোহেলও দেশে এসে ওই তরুণীকে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ফের তাকে প্রলোভন দেখিয়ে পাটগ্রামের সহযোগীদের নিয়ে ভারতে পাচার করেন। সেখানেও সহযোগীদের নিয়ে তাকে গণধর্ষণ করেন। এক সপ্তাহ পর কৌশলে আবার বাংলাদেশে ফিরে আসেন ওই তরুণী। সোহেলসহ পাঁচ জনের নামে পাটগ্রাম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ও মানব পাচার প্রতিরোধ দমন আইনে মামলা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই র্যাব অভিযানে নেমে সোহেলকে গ্রেফতার করেছে।
সারাবাংলা/টিআর