কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ সংস্কার হওয়ায় আনন্দে ভাসছে রাণীনগরবাসী
২৫ মে ২০২২ ১০:৫৮
নওগাঁ: নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কেন্দ্রীয় পাইলট সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্যের নির্দেশনা ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ইতোমধ্যেই মাঠে মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়েছে।
এলাকাবাসী বলছেন, এই মাঠটি উপজেলার সোনালী দিনের স্বাক্ষর বহন করে। এই মাঠে একসময় অনুষ্ঠিত হতো বিভাগীয়সহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ের ফুটবল টুর্নামেন্ট। এছাড়াও ক্রিকেট, হ্যান্ডবলসহ উপজেলা পর্যায়ের সবধরনের খেলা এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবসসহ জাতীয় ও আঞ্চলিক অনুষ্ঠানগুলো অনুষ্ঠিত হতো এই মাঠেই। খেলাধুলার পাশাপাশি বিভিন্ন বয়সের মানুষ নিয়মিত শরীর চর্চাও করতেন এখানে। কিন্তু দীর্ঘদিন এই মাঠের কোনো সংস্কার না করা ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না রেখে আশপাশের জমিতে অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণের কারণে বর্ষা মৌসুমে সৃষ্টি হতো কৃত্রিম জলাবদ্ধতা। শুকনো মৌসুমে মাঠ কিছুটা ব্যবহার করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে এই মাঠে স্থানীয়রা মাছ শিকার করতেন। চাষ হতো কচুরিপানার। মাঠটি দিন দিন ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলতে বসেছিল। গতবছর এই বিষয়ে দেশের বিভিন্ন প্রিন্ট ও জাতীয় এবং আঞ্চলিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. আনোয়ার হোসেন হেলাল এই মাঠটির ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আলতাফ, সুমনসহ অনেকেই বলেন, মাঠ সংস্কারের কাজ দেখে খুবই ভালো লাগছে। আবার মুখরিত হয়ে উঠবে এই প্রিয় মাঠটি।
উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন জয় বলেন, আশা করি মাঠটিতে মাটি ভরাট করার পর অবশ্যই পানি নিষ্কাশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং আধুনিকায়নের পদক্ষেপও গ্রহণ করবেন এটাই শুধু আমাদের দাবি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্যের নির্দেশনা মোতাবেক মাঠটিকে উঁচু করে আধুনিকায়ন করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। প্রথমে মাঠটি মাটি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। পরবর্তীতে মাঠের তিন দিকে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনও নির্মাণ করা হবে। এই ঐহিত্যবাহী মাঠটিকে আধুনিকায়ন করতে এবং হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে যা যা করা প্রয়োজন তাই করা হবে।
নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. আনোয়ার হোসেন হেলাল বলেন, ছোট বেলায় এই মাঠে খেলার আমার অনেক স্মৃতি রয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে আজ এই ঐতিহ্যবাহী মাঠটি তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছিল। আমি এই মাঠটিকে সংস্কার এবং আধুনিকায়ন করার পদক্ষেপ গ্রহণ করি। আমি আশাবাদি অতি দ্রুতই রাণীনগরবাসী নতুনরূপে এই মাঠটিকে ফিরে পাবেন।
সারাবাংলা/এএম