দ্বিতীয় দফায় দুদকের মুখোমুখি আইডিয়ালের আতিকুর
২৫ মে ২০২২ ১৫:৩১
ঢাকা: রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান খান দ্বিতীয় দফায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মুখোমুখি হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ভর্তি বাণিজ্য, কেনাকাটা ও সংস্কারের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
বুধবার (২৫ মে) সকাল থেকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির পরিচালক মো. সফিকুর রহমান ভূঁইয়ার নেতৃত্বে একটি টিম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
কমিশন সূত্রে জানা যায়, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভর্তি বাণিজ্য, প্রতিষ্ঠানের কেনাকাটা ও সংস্কারকাজ করাসহ বিভিন্ন খাত থেকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে। আতিকুর রহমানের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করতে গিয়ে দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ‘ভিশন-৭১ ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড’ নামের একটি কোম্পানির খোঁজ পায়। কোম্পানিটির সঙ্গে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগমের ছেলে শরীফ মোস্তাক, উপ-সহকারী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান ও তার স্ত্রী নিপার সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে। কীভাবে কোম্পানিটি চলছে, এর মূলধন কোথা থেকে এল, ফ্ল্যাট ক্রয়-বিক্রয়ে আর্থিক লেনদেন ব্যাংকিং চ্যানেলে হয়েছে কি না এবং কোম্পানি সংশ্লিষ্ট সব নথিপত্র যথাযথ রয়েছে কি না ইত্যাদি বিষয়ে জানতেই তাকে তলব করা হয়েছে।
এর আগে ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর দুর্নীতির অভিযোগে প্রথমবারের মতো আতিকুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। ওই বছরের ৮ আগস্ট দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আতিকুর রহমান খানের বিরুদ্ধে বিদেশযাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আদালত। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর ২০২১ সালের ৩ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তা তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আতিকুর রহমান খান ২০০৪ সালে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে যোগ দেন।
দুদকের অনুসন্ধানে দেশের ১৫টি ব্যাংকে আতিকুর রহমানের ৯৭টি অ্যাকাউন্টের তথ্য পাওয়া গেছে। এসব অ্যাকাউন্টে ২০০৭ সাল থেকে ২০২১ সালের ২৮ মার্চ পর্যন্ত ১১০ কোটি ৬৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৯২ টাকা লেনদেন হয়েছে।
সারাবাংলা/এসজে/এনএস
আতিকুর রহমান খান দুর্নীতি দমন কমিশন মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ