Sunday 13 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সবার সামনে শিক্ষার্থী ও তার মাকে জুতাপেটা করলেন গ্রন্থাগারিক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৫ মে ২০২২ ২১:২৯

রাজশাহী: গোদাগাড়ী উপজেলায় গাছ থেকে আম পাড়ার অপরাধে স্কুলের ভেতরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সামনেই এক শিক্ষার্থী ও তার মাকে জুতাপেটা করেছেন গ্রন্থাগারিক।

ঘটনাটি গত শনিবারের (২১ মে) হলেও জুতাপেটা করার একটি ভিডিও বুধবার (২৫ মে) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়েছে।

উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের পালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে। অভিযুক্ত গ্রন্থাগারিকের নাম কামরুজ্জামান।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, স্কুলমাঠে শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীরা দাঁড়িয়ে ছিলেন। আম পাড়ার বিষয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে তাদের কথাবার্তা চলছিল। এর মধ্যেই গ্রন্থাগারিক পায়ের জুতা খুলে এক শিক্ষার্থীকে পেটাতে শুরু করেন। ঘটনাস্থলে ওই শিক্ষার্থীর মা-ও ছিলেন। তিনি ছেলেকে রক্ষার চেষ্টা করলে জুতার আঘাত পড়ে তার শরীরেও।

ভিডিওচিত্রে পায়ের জুতা খুলে যাকে মারধর করতে দেখা গেছে, তিনি স্কুলটির লাইব্রেরিয়ান মো. কামরুজ্জামান বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আসাদুল আলম। তিনি বলেন, ছেলেরা স্কুলের গাছের আমগুলো পেড়ে শেষ করে দিচ্ছিল। স্কুলের শিক্ষকেরা তাদের বারণ করলে তারা শিক্ষকদের সঙ্গেই দুর্ব্যবহার করে। এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলার এক পর্যায়ে লাইব্রেরিয়ান কামরুজ্জামান জুতা খুলে মারধর করেছেন। তবে ঘটনার সময় আমি ছিলাম না।

স্কুলের ভেতরেই প্রকাশ্যে শিক্ষার্থী ও তার মাকে জুতাপেটা করার ঘটনায় এলাকায় অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তবে অভিযুক্ত গ্রন্থাগারিকের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, ঘটনার পর স্কুলের প্রধান শিক্ষক ওই শিক্ষার্থী ও তার অভিভাবককে স্কুলে ডাকেন। তারা গেলে স্কুলটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ঘটনাটি মীমাংসা করে দেন।

বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আসাদুল আলম বলেন, এই ছেলেরা এবার এসএসসি পরীক্ষা দেবে। তাই মীমাংসা করে দেওয়া হয়েছে। গ্রন্থাগারিক কামরুজ্জামান নিজের ভুল স্বীকার করে বলেছেন, তার অজান্তেই জুতা খোলা হয়ে গিয়েছিল। তাই তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে। তবে এ ধরনের ঘটনা শোভনীয় নয়। তাই ভবিষ্যতের জন্য তাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

ঘটনার সম্পর্কে প্রশ্ন করলেই মোবাইল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দুলাল আলম। আর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহা. নাসির উদ্দিনের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। তাই এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানে আলম বলেন, আজই (বুধবারঘ) তিনি ঘটনাটি সম্পর্কে জেনেছেন। এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করলে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।

সারাবাংলা/টিআর

শিক্ষার্থীকে জুতাপেটা শিক্ষার্থীর মাকে জুতাপেটা

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর