পাটকলের দায়-দেনা মেটাতে ৫৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ
২৫ মে ২০২২ ২২:১৫
ঢাকা: বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বন্ধঘোষিত বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি)-এর মিলগুলোর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাওনা, কাঁচা পাট সরবরাহকারীদের পাওনা এবং অন্যান্য পাওনা (স্টোর সরবরাহ/ক্যারিং সংশ্লিষ্ট সরবরাহকারীদের) বাবদ সর্বমোট ৫৭৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা বিজেএমসির অনুকূলে বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
২০২১-২২ অর্থ বছরের অর্থ বিভাগের সংশোধিত বাজেটে ‘পরিচালন ঋণ’ খাত থেকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশন (বিজেএমসি) এর অনুকূলে ‘পরিচালন ঋণ’ হিসেবে ৫৭৪ দশমিক ১৪ কোটি (পাঁচশত চুয়াত্তর কোটি চৌদ্দ লাখ) টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়।
বরাদ্দকৃত অর্থ ৩২৭ কোটি ৭ লাখ টাকা ১৯৮০ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাওনা, ২ হাজার ২১৭ জন কাঁচা পাট সরবরাহকারীদের পাওনা বাবদ ২৩৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা এবং ১ হাজার ১১৯ জন স্টোর সরবরাহ/ক্যারিং সংশ্লিষ্ট সরবরাহকারীদের পাওনা বাবদ ১২ কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যতিত অন্য কোনো খাতে ব্যয় করা যাবে না। বরাদ্দকৃত অর্থ সংশ্লিষ্ট মিলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের, কাঁচা পাট সরবরাহকারী এবং স্টোর সরবরাহ/ক্যারিং সংশ্লিষ্ট সরবরাহকারীদের সুর্নির্দিষ্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের ১০ মে তারিখে স্বাক্ষরিত জানানো হয়, আগামী ২০ বছরে (৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ) ৫ শতাংশ সুদে ছয় মাসের কিস্তিতে এ অর্থ পরিশোধ করতে হবে। আর এ জন্য অর্থ বিভাগের সঙ্গে বিজেএমসিকে একটি ঋণ চুক্তি সম্পাদন করতে হবে।
চিঠিতে বিশেষভাবে বলা হয়েছে— অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী/কাঁচাপাট সরবরাহকারী/স্টোর সরবরাহ বা ক্যারিং সংশ্লিষ্ট সরবরাহকারীদের পাওনা পরিশোধকালে বিজেএমসি কর্তৃপক্ষ তাদের পাওনার বিষয়টি সরকারি বিধি-বিধানের আলোকে পুনরায় যাচাই বাছাই করে নিশ্চিত হয়ে পাওনা পরিশোধ করবে। পাওনা পরিশোধকালে পাওনার বিষয়ে কোনো অসঙ্গতি দৃষ্টিগোচর হলে বিজেএমসি/মিল কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে তা সংশোধনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ে সরকারের বিদ্যমান বিধি বিধান অনুসরণ করতে হবে। বিধি-বহির্ভূতভাবে কোনো অর্থ পরিশোধ করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা দায়ী থাকবেন। কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংশ্লিষ্ট মিল অথবা বিজেএমসি’র বিরুদ্ধে কোনো মামলা করে থাকলে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী মামলার সকল ধাপ সম্পন্ন হওয়ার পর আদালতের রায় অনুযায়ী অথবা উক্ত অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ মামলা প্রত্যাহারপূর্বক লিখিত আবেদনপ্রাপ্তি সাপেক্ষে তাদের পাওনা পরিশোধের বিষয় বিবেচনা করতে হবে। অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মিল কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যক্তিগত দায় বা নিরীক্ষা আপত্তি থেকে থাকলে ওই আপত্তি নিষ্পত্তি হওয়ার পর বিধি-বিধানের আলোকে পাওনাদি পরিশোধ করতে হবে। অব্যয়িত অর্থ পরবর্তী সময়ে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে।
এ ছাড়াও বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ের ৭ (সাত) দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মিলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী/কাঁচা পাট সরবরাহকারী/স্টোর সরবরাহ বা ক্যারিং সংশ্লিষ্ট সরবরাহকারীদের তালিকাসহ বিস্তারিত ব্যয় বিবরণী অর্থ বিভাগে পাঠাতে হবে।
সারাবাংলা/একে