Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পাহাড়ে কেন রক্তপাত— প্রশ্ন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৬ মে ২০২২ ১৪:৩৪

রাঙ্গামাটি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, বাংলাদেশে কোনো চাঁদাবাজি হবে না। কোনো রক্তপাত হবে না। কেন এই তিন জেলায় রক্তপাত হবে? এই ভালো মানুষগুলো নিহত হবে?

তিনি বলেন, পাহাড়ের প্রত্যেক জেলায় গ্রামে গ্রামে ঘুরে দেখেছেন অনেক সাদাসিধে মানুষ। কোনো ডিমান্ড নেই। শান্তি প্রিয় মানুষ। তাহলে কেন এই রক্তপাত, সেটাই জিজ্ঞাসা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ওয়াদা করছি, পুলিশ বাহিনী আপনাদের পাশে থাকবে। আপনারা প্রতিরোধ করুন, সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে আমাদের জানান।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে (২৬ মে) রাঙ্গামাটির শহরের সুখীনীলগঞ্জ পুলিশ লাইনসে ডিআইজি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নস্ (পার্বত্য জেলাসূমহ) ও তিন পার্বত্য জেলায় তিনটি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন সকাল ১০টায় ব্যাটালিয়নের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উদ্বোধন করা হয়। পরে আলোচনা সভায় অংশ নেন অতিথিরা।

সভায় মন্ত্রী আরও বলেন, সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজ; যারা নামে-বেনামে চাঁদাবাজি করছে, রক্তপাত করছে তাদের আইনের মুখোমুখি করা হবে। আইন অনুযায়ী শাস্তিও পেতে হবে।

অনুষ্ঠানে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ আক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ সিং, রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, চাকমা সার্কেল চিফ দেবাশীষ রায়, সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল সাইফুল আবেদীন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।

বিজ্ঞাপন

পাহাড়ের জনপ্রতিনিধিদের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এখানকার তিন এমপি এবং আরও যারা আসছেন- সবারই এক কথা এগুলো বন্ধ করতে হবে। সবাই যখন চাচ্ছেন, আশাকরি আমরা অবশ্যই সফল হব। সফল হতেই হবে। আমরা পৃথিবীকে দেখিয়ে দিয়েছি আমরা অনেক কিছুই পারি। প্রধানমন্ত্রী চান তিন জেলা সুন্দর, শান্তি-শৃঙ্খল থাকুক, আপনারাও চান তাহলে হবে না কেন?’

তিনি বলেন, ‘এখন শুনছি আমাদের বাঙালি ভাইয়েরাও নাকি তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। আমরা যদি এসবের প্রমাণ পাই, আপনাদের চরম বিপর্যয় চলে আসবে।’

এ সময় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেন, তিন পার্বত্য জেলার উপজেলা পরিষদচেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান-সদস্য, হেডম্যান-কারবারিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনা করা ক্যাম্পসমূহ: রাঙ্গামাটির আঠারো মাইল ক্যাম্প (১৮ এপিবিএন), বান্দরবানের রাবার বাগান ক্যাম্প (১৯ এপিবিএন) ও খাগড়াছড়ির পুরাতন পক্ষীমোড়া ক্যাম্প (২০ এপিবিএন)। এছাড়া রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি- এই তিন জেলায় ব্যাটালিয়ন হেড কোয়ার্টার্স এবং রাঙ্গামাটিস্থ পার্বত্য জেলাসমূহের কার্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।

সারাবাংলা/একেএম

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:৫০

সম্পর্কিত খবর