টাঙ্গাইলে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতিসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ
২৬ মে ২০২২ ১৪:৩১
টাঙ্গাইল: জেলার ভুঞাপুরে অনুমোদনহীন মা ক্লিনিক এন্ড হাসপাতাল নামের প্রতিষ্ঠানে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতিসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৫ মে) রাতে এ ঘটনা ঘটে। ওই প্রসূতির মৃত্যুর পরপরই প্রতিষ্ঠানটি খালি রেখেই মালিক, সিজারিয়ানের সঙ্গে জড়িত চিকিৎসক ও নার্সরা পালিয়ে যায়।
মৃত প্রসূতির নাম লাইলী বেগম (২৫ )। তিনি ভুঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের খানুরবাড়ি গ্রামের আতোয়ার হোসেনের স্ত্রী।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, প্রসূতি লাইলী বেগমের প্রসব বেদনা শুরু হলে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্মরত চিকিৎসক রোগীকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে থাকা ক্লিনিকের দালাল শামছু তাদের মা ক্লিনিক এন্ড হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে ওই ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ভুঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার এনামুল হক সোহেল ও চিকিৎসক ডা. আল মামুনকে অপারেশনের জন্য ডেকে আনেন। ক্লিনিকের অপারেশন রুমে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর অপারেশন টেবিলেই রোগী মারা যায়। পরে স্বজনদের না জানিয়ে মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে উঠিয়ে টাঙ্গাইলে পাঠিয়ে দেোয়ার সময় স্বজন ও স্থানীয়রা বাঁধা দিলে মরদেহ ক্লিনিকের সামনে রেখে চিকিৎসক, নার্স ও মালিকরা পালিয়ে যায়।
নিহতের স্বামী আতোয়ার বলেন, আমি গরিব মানুষ। দালাল শামছু কম টাকায় সিজার করে দেওয়ার আশ্বাস দিলে সেখানে নেই। পরে দেড় ঘণ্টা আমার স্ত্রীকে অপারেশন থিয়েটারে রাখে। ভুল চিকিৎসায় আমার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আমি এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই।
ভুঞাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. আল মামুন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মা ক্লিনিকে আনার পর তার উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয়। পরে অপারেশনের আগেই রোগী বমি করার পর মারা যায়। এখানে ভুল চিকিৎসার মৃত্যুর অভিযোগ মিথ্যা।
ভুঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ক্লিনিকে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে ক্লিনিকের চিকিৎসক, নার্স ও মালিকরা পালিয়ে গেছে।
সারাবাংলা/এসএসএ