Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

তামাকের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে কর বাড়ানোর দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৬ মে ২০২২ ১৭:১৭

ঢাকা: দাম বাড়ানোকে তামাকপণ্য ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করার আন্তর্জাতিক পদ্ধতি হিসেবে অনুসরণ করা হয়। একই পদ্ধতি অনুসরণ করতে দেশেও তামাকপণ্যের দাম বাড়াতে এসব পণ্যে কর বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন  তামাকবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত ব্যক্তিরা।

তারা বলছেন, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার জন্য করবৃদ্ধির মাধ্যমে তামাকপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি একটি আন্তর্জাতিকভাবে অনুসৃত পদ্ধতি। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত ২০৪০ সালের মধ্যে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখার জন্য আসন্ন ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে তামাকজাত দ্রব্যের কর ও মূল্যবৃদ্ধি জরুরি। এই তামাক কর এমনভাবে বাড়ানো উচিত যেন তামাক গ্রহণকারীরা তামাক সেবনে নিরুৎসাহিত হন।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৬ মে) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের উদ্যোগে আয়োজিত এক প্রাক-বাজেট সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিমত তুলে ধরেন সংসদ সদস্য ও বিশ্লেষকরা।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত, বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারি।

প্রাক-বাজেট এই আলোচনায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানস’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. অরূপরতন চৌধুরী, সিটিএফকে-বাংলাদেশের লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও গ্র্যান্টস ম্যানেজার আবদুস সালাম মিয়া এবং ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশেদুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার শারমিন আক্তার রিনির সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উন্নয়ন সমন্বয়ের পরিচালক (গবেষণা) আবদুল্লাহ নাদভী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. শরিফুল ইসলাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. হাবিবে মিল্লাত বলেন, জনস্বাস্থ্যের জন্য তামাক খুবই ক্ষতিকর একটি দ্রব্য। এর আর্থিক ক্ষতিও কম নয়। ফলে তামাক ব্যবহার কমানোর জন্য সব ক্ষেত্রেই উদ্যোগ নিতে হবে। বিশেষত ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী তামাক ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করার জন্য তামাক কর বাড়ানোটাও খুবই জরুরি।

বিশেষ অতিথি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারি বলেন, অন্যান্য করের সঙ্গে তামাক করের পার্থক্য রয়েছে। এটি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে বুঝতে হবে। কারণ তামাকের কারণে যে পরিমাণ কর আহরণ হয়, জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় এর বহুগুণ।

সিটিএফকে-বাংলাদেশের লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সংবাদ সম্মেলনে যে প্রস্তাবনাটি করা হয়েছে, সেটি সরকার গ্রহণ করলে তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমবে। নতুন ব্যবহারকারীরাও নিরুৎসাহিত হবে।

সিটিএফকে-বাংলাদেশের গ্র্যান্টস ম্যানেজার আবদুস সালাম মিয়া বলেন, কার্যকরভাবে করারোপের অভাবে বাংলাদেশে তামাকপণ্য অত্যন্ত সস্তা ও সহজলভ্য হয়ে যাচ্ছে। এজন্য তামাকে কর বাড়াতে হবে।

অধ্যাপক ডা. অরূপরতন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মতো তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হলে তামাক কর বাড়ানোর বিকল্প নেই।

ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশেদুল ইসলাম বলেন, তামাকমুক্ত বাংলাদেশ পেতে হলে কর ব্যবস্থা ও এনবিআরকে ঢেলে সাজাতে হবে।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ বলেন, বর্তমান তামাক কর কাঠামো অত্যন্ত জটিল, যা তামাকের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার পথে একটি বড় বাধা। আর এজন্য এই কর কাঠামোকে সহজ করতে হবে। এর মাধ্যমে যথাযথ পদ্ধতিতে তামাকপণ্যে কর বাড়ানো গেলে তামাকের ব্যবহার কমাতে তা কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন তামাকবিরোধী সংগঠনগুলোর প্রতিনিধি এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের কর্মীরা।

সারাবাংলা/এসএসএ/টিআর

কর বাড়ানোর দাবি তামাকপণ্য তামাকপণ্যে কর

বিজ্ঞাপন

খেজুর আমদানিতে শুল্ক কমলো
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২১:০৮

আরো

সম্পর্কিত খবর