বাজেটে তামাকপণ্যের কর ও মূল্য বাড়ানোর দাবি আহসানিয়া মিশনের
২৬ মে ২০২২ ১৯:০৩
ঢাকা: আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে সবধরনের তামাক পণ্যে কর ও মূল্য বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে ঢাকা আহসানিয়া মিশন। সংস্থাটি বলছে, ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাকপণ্যের কর ও মূল্য বাড়ানো জরুরি।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা আহসানিয়া মিশন আয়োজিত এক প্রাক-বাজেট সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি উত্থাপন করা হয়।
ঢাকা আহসানিয়া মিশন বলছে, ‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে কর বৃদ্ধি আন্তর্জাতিকভাবে অনুসৃত পদ্ধতি। বর্তমান তামাক করকাঠামো অত্যন্ত জটিল হওয়ায় তা তামাকের ব্যবহার নিরুৎসাহিতকরণের পথে একটি বড় বাধা। এ জন্য এই করকাঠামোকে সহজ করতে হবে।’
লিখিত বক্তব্যে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, কার্যকরভাবে করারোপের অভাবে বাংলাদেশে তামাকপণ্য অত্যন্ত সস্তা ও সহজলভ্য। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিগারেটের ব্যবহার প্রায় একই রকম রয়েছে। এসব পণ্যের কর ও মূল্য বৃদ্ধি করলে এর ব্যবহার কমবে। নয়তো নাগরিক স্বাস্থ্যে তামাকপণ্যের বিরূপ প্রভাব বাড়তে থাকবে।
প্রতিষ্ঠানটি উন্নয়ন সমন্বয়ের পরিচালক (গবেষণা) আবদুল্লাহ নাদভী এই বিষয়ে একটি প্রবন্ধও উপস্থাপন করেন।
এতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী ২০১৬ সালে যখন ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ গঠনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন, তখন এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য বর্তমান শুল্ক কাঠামো সহজ এবং এই অঞ্চলের সর্বোত্তম ব্যবস্থা থেকে শিক্ষা নিয়ে সরকারের শুল্ক আয় বৃদ্ধি করার নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
এতে আরও বলা হয়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে শতকরা হিসাবে নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম সর্বোচ্চ পরিমাণে বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। কারণ, ২০২০-২১ অর্থবছরের হিসাব অনুসারে মোট যে সিগারেট বিক্রি হয়, তার সবচেয়ে বড় অংশ ৭৫ শতাংশ হলো স্বাস্থের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর নিম্নস্তরের সিগারেট।
প্রবন্ধে প্রস্তাবনাগুলো বাস্তবায়নের সম্ভাব্য ফলাফল হিসেবে বলা হয়, সরকার যদি তামাক কর বৃদ্ধি করে, তবে সিগারেট ব্যবহারকারীর অনুপাত ১৫.১ শতাংশ থেকে ১৪.০৩ শতাংশ হবে। ১৩ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক সিগারেট ব্যবহার ছেড়ে দেবেন ও ৯ লাখ তরুণ সিগারেট ব্যবহার শুরু করা থেকে বিরত থাকবেন। এছাড়া ৮ লাখ ৯০ হাজার অকালমৃত্যু রোধ করা যাবে। আর ৯ হাজার ২০০ কোটি টাকা বাড়তি রাজস্ব আদায় হবে সিগারেট বিক্রি থেকে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, সংসদ সদস্য ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত, সিটিএফকে বাংলাদেশের লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশেদুল ইসলামসহ তামাকবিরোধী সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/টিএস/পিটিএম