Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৫ দফা দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিড়ি শ্রমিকদের সমাবেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৬ মে ২০২২ ২৩:১৩

ঢাকা: আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে বিড়িতে শুল্ক কমানোসহ পাঁচ দফা দাবিতে সমাবেশ করেছেন বিড়ি শ্রমিকরা। সমাবেশে বিড়ি শ্রমিকরা আগামী বাজেটে বিড়ির ওপর বিদ্যমান শুল্ক কমানো, বিড়ির ওপর অর্পিত অগ্রিম ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহার, সরেজমিনে পরিদর্শন ব্যতিরেকে বিড়ি কারখানার লাইসেন্স প্রদান বন্ধ করা, কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে নকলবাজদের আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের সুরক্ষা আইন প্রণয়নের দাবি জানান।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৬ মে) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের আয়োজনে এ বিড়ি শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন শ্রমিক নেতারা।

বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশনের সভাপতি এম কে বাঙ্গালী। প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দিন (বিএসসি), সহসভাপতি নাজিম উদ্দিন, সহসভাপতি লোকমান হাকিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত লাভলু, প্রচার সম্পাদক শামীম ইসলাম, সদস্য আনোয়ার হোসেনসহ অন্যরা।

সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, গত কয়েক দশক ধরে দেশের প্রাচীন শ্রমঘন বিড়ি শিল্প ধ্বংসের চক্রান্ত করা হচ্ছে। অথচ দেশের লাখ লাখ হতদরিদ্র, স্বামী পরিত্যক্তা, নদী ভাঙন কবলিত জনগণ, শারীরিক বিকলাঙ্গসহ সুবিধাবঞ্চিত শ্রমিকদের অন্নসংস্থানের একমাত্র মাধ্যম এই বিড়ি শিল্প। বিড়ি শিল্প ধ্বংসে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি (বিএটিবি) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কিছু অসাধু কর্মকর্তা বিড়ির ওপর ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। বিড়ি কারখানার মালিকরা এই মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা সহ্য করতে না পেরে কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে বিড়ি কারখানায় নিয়োজিত শ্রমিকরা কাজ হারিয়ে পরিবার নিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছেন। শ্রমিকদের কাজ রক্ষায় সরকারের কাছে আমরা বিড়ির ওপর বিদ্যমান শুল্ক কমানোর জোর দাবি জানাচ্ছি।

বিজ্ঞাপন

বক্তারা আরও বলেন, বিড়ি শিল্প দেশীয় শ্রমিকবান্ধব শিল্প। বিড়ি শতভাগ দেশীয় প্রযুক্তিনির্ভর শিল্প। অন্যদিকে সিগারেটের সবকিছু বিদেশ থেকে আমদানি করা ও বিদেশি প্রযুক্তিনির্ভর। বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানি এ দেশের মানুষের ফুসফুস পুড়িয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করছে। ব্রিটিশ বেনিয়াদের দোসর ও নব্য মীরজাফর আত্মা ও প্রজ্ঞা বিড়ি শিল্প ও শ্রমিক ধ্বংস করতে বিভিন্ন অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া সিগারেটে অগ্রিম আয়কর ৩ শতাংশ আর সেখানে বিড়িতে অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ।

তারা বলেন, বৈষম্যমূলক অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারসহ দেশীয় বিড়ি শিল্প নিয়ে সব ধরনের ষড়যন্ত্র বন্ধ করা না হলে আমরা তীব্র আন্দোলন-সংগ্রামে যেতে বাধ্য হব। একইসঙ্গে পার্শ্ববতী দেশ ভারতের মতো বিড়ি শ্রমিকদের কল্যাণে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প চালু করার জোর দাবি জানান শ্রমিকরা।

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর

বিড়ি শ্রমিক সমাবেশ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর