ঢাকায় রানি এলিজাবেথের জন্মদিন উদযাপন
২৬ মে ২০২২ ২৩:৫৮
রাজধানী ঢাকায় বর্ণাঢ্য সংবর্ধনার মধ্য দিয়ে রানি এলিজাবেথের ৯৬তম জন্মদিন উদযাপন করেছে ব্রিটিশ হাইকমিশন। রানি এলিজাবেথ দ্বিতীয়, ব্রিটিশ ইতিহাসে অন্য যেকোনো রাজার চেয়ে দীর্ঘ সময় শাসন করায় গোটা বিশ্বেই তিনি হয়ে উঠেছিলেন প্রিয় ও সম্মানিত এক ব্যক্তিত্ব। ব্রিটেনের রানি হিসেবে তার ৭০ বছর পূর্ণ হওয়া উপলক্ষে প্লাটিনাম জুবিলি পালন করায় এ বছরের এই দিনটি ছিল বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
যুক্তরাজ্যে জুনের শেষ সপ্তাহে চার দিনব্যাপী প্লাটিনাম জুবিলি উদযাপন করা হবে। এ উপলক্ষে ঢাকায় বুধবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত সংবর্ধনায় বাংলাদেশ সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। এর আগে ঢাকা ও লন্ডন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী পালন করেছে। স্পিকার ১৯৭২ সালে বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় রানি এলিজাবেথের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বলেন, তিনি (রানি) যুক্তরাজ্য ও কমনওয়েলথের জন্য শক্তির এক অবিশ্বাস্য উৎস ছিলেন। তার শাসনামলে কমনওয়েলথের ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। রানির দৃষ্টান্তমূলক নিবেদিত কর্মময় জীবনের প্রতি আমরা শ্রদ্ধা জানাই। তার রাজত্বজুড়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার জন্য যেসব সাফল্য অর্জিত হয়েছে, আমরা তা উদযাপন করছি।
তিনি বলেন, আজ আমাদের অংশীদারদের উদারতার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বাংলাদেশে মেয়েদের শিক্ষা ও নারী ক্ষমতায়নের কারণে আমরা একটি অনুদান দিচ্ছি।
এই জুবিলির মাধ্যমে রানি এলিজাবেথের সম্মানে বার্মিংহামে ২০২২ কমনওয়েলথ গেম ও বিবিসি’র শতবর্ষসহ যুক্তরাজ্য সংস্কৃতি ও সৃজনশীলতার ‘এম্পাওয়ারিং গার্লস টু চেঞ্জ দ্যায়ার ওয়ার্ল্ড’ শিরোনামে একটি উদ্দীপনাময় বছর হিসেবে নিবেদিত হয়েছে।
ব্রিটিশ হাইকমিশন অনুষ্ঠানে সারাদেশ থেকে মেয়েদের আমন্ত্রণ জানায়। তাদের অতিথিদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে তারা তাদের ভবিষ্যত স্বপ্নের কথা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের জন্য পাওয়া অর্থের একটি উল্লেখ্যযোগ্য অংশ ব্রিটিশ কাউন্সিলের ইডিজিই কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশে নারীশিক্ষার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে এবং বর্তমানে বাংলাদেশের ২ হাজার ৪শ যুব মেয়েদের প্রশিক্ষণ প্রদান এবং তাদের অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে ও আত্মপ্রত্যয়ী হতে সাহায্য করছে। বাসস।
সারাবাংলা/টিআর