Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ছাত্রদলের ওপর হামলার পরিণতি ভালো হবে না’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৭ মে ২০২২ ১৮:০৩

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের ‘সন্ত্রাসী‘ হামলার পরিণতি শুভ হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

শুক্রবার (২৭ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীর ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশটির আয়োজন করে ঢাকা মহানগর বিএনপি।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আজকে যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের লাঠি দিয়ে, অস্ত্র দিয়ে সমর্থন দিয়ে তাদের (ছাত্রলীগ) লেলিয়ে দিচ্ছেন, আপনারা (ক্ষমতাসীনরা) আপনাদের কথা চিন্তা করেন। যারা করছে তাদের পরিণতি কী হবে, অতীতে আমাদেরকে কাছে বহু উদাহরণ রয়েছে। এর পরিণতি শুভ হবে না।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা (সরকার) কেন এ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছেন এটি সবাই জানে। শেখ হাসিনার সরকার আজকে চতুর্দিকে ঘেরাও হয়ে গেছে, আন্তর্জাতিকভাবে তারা বিচ্ছিন্ন, আন্তর্জাতিকভাবে তারা সমর্থন শূন্য, এদেশের মানুষ তাদেরকে (সরকার) প্রত্যাখান করেছে। তাদের আর কোনো পথ নেই, তাদের পথ এখন চতুর্দিকে বন্ধ হয়ে গেছে।’

‘তখন তারা এই সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। কারও যদি জনসমর্থন থাকে, গণতান্ত্রিকভাবে পায়ের নিচে মাটি থাকে তাহলে এরকম সন্ত্রাসীর পথে কেউ যায় না। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গেছে, সারা বাংলাদেশে তারা আন্দোলনের সূচনা করেছে। সারাদেশে এই আন্দোলন হবে। কয় জায়গায় আপনারা এই সন্ত্রাসীদের পাঠাতে পারবেন?— বলেন ড. মোশাররফ।

তিনি বলেন, ‘ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা এদেশের মানুষের সন্তান, তাদের অভিভাবকরা আজকে প্রস্তুত হচ্ছে। বিএনপিসহ যত অঙ্গসংগঠন আছে তারা প্রত্যেকে ছাত্রদলের ভাই অথবা অভিভাবক। তাই অভিভাবকরা কেউ বসে থাকবে না।’

সরকারের উদ্দেশে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আজকে আমাদের সামনে একটি দাবি যদি দেশকে শ্রীলংকার মতো দেখতে না চান তাহলে অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করেন, সংসদ ভেঙে দেন এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করেন। সেই নিরপেক্ষ সরকার এদেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে যে ভোট হবে সেখানে ইভিএমে ভোট চলবে না। নিজের হাতে ভোট দিয়ে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে।’

পদ্মাসেতু থেকে খালেদা জিয়াকে ‘টুস’ করে ফেলে দেওয়ার বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আজকে যিনি প্রধানমন্ত্রী তার ঘুম হয় না। ঘুম হয় না বলেই এই প্রধানমন্ত্রী বলতে পারেন, তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী এদেশের গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতুর ওপর থেকে টুস করে ফেলে দেবেন। এই কথা একজন সুস্থ ব্যক্তি কখনো বলতে পারেন না।’

‘এই প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পদ্মা নদীতে দুইবার চুবিয়ে উঠিয়ে ফেলবেন, মেরে ফেলবেন বলেন নি। বাঁচিয়ে দেবেন বলেছেন। আর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ওই নদীতে ফেলে দেবেন বলেছেন। অর্থাৎ এখানে আপনি ( শেখ হাসিনা) হত্যার হুমকির অভিযোগে অভিযুক্ত’— বলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

মহানগর উত্তরের সভাপতি আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের রফিকুল আলম মজনুর পরিচালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, আবদুস সালাম আজাদ, নাজিম উদ্দিন আলম, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী, কামরুজ্জামান রতন, শিরিন সুলতানা, মীর সরফত আলী সপু, আজিজুল বারী হেলাল, শামীমুর রহমান শামীম, রাজিব আহসান, হাসান জাফর তুহিন, সাইফুল আলম নীরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।

সারাবাংলা/এজেড/একে

ছাত্রদল টপ নিউজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর