Wednesday 11 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘তিস্তা চুক্তি ১১ বছর ধরে ঝুলে থাকা লজ্জার’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
৩০ মে ২০২২ ১৪:৪৯

ফাইল ছবি: ড. এ কে আব্দুল মোমেন

ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘ ১১ বছর যাবৎ তিস্তা চুক্তি সই না হওয়া লজ্জার ব্যাপার বলে জানিয়েছেন ভারত সফরে থাকা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমন অবস্থানের কথা জানান।

চলতি সপ্তাহে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের গুয়াহাটিতে শুরু হয় ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যৌথ নদী কনফারেন্স। ওই কনফারেন্সের সাইডলাইনে মোমেন ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে এ মন্তব্য করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের মধ্যে কেবল একটি বিবাদমান ইস্যু তা হলো তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি। এই চুক্তি অমীমাংসিত রয়ে গেছে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে। অথচ, এই দুই দেশ ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানি সমঝোতার ভিত্তিতে ভাগাভাগি ও ব্যবহার করছে।

তিস্তা নদী কাংসে হিমবাহ থেকে উৎপন্ন হয়ে সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ১৯৪৭ সাল থেকেই তিস্তা নদীর অববাহিকায় ভারতের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ থাকায় পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত প্রতিবেশী বাংলাদেশ। ২০১১ সালে নিজেদের ব্যবহারের জন্য ৪২.৫ শতাংশ রেখে তিস্তার ৩৭.৫ শতাংশ পানি বাংলাদেশের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে রাজি হয়েছিল ভারত। খরার মৌসুমে এই পানি ব্যবহারে অগ্রাধিকার পাবে ভাটির দেশ বাংলাদেশ। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির তীব্র বিরোধিতায় বাংলাদেশের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি আলোর মুখ দেখেনি এখনো।

এরপর, আন্তঃসীমান্ত ও আন্তর্জাতিক এই নদীর পানি ব্যবহারে ন্যায্য অধিকার নিশ্চিতে দীর্ঘদিন ধরেই প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ।

মোমেন আরও বলেন, বর্ষার মৌসুমী তিস্তার পানি ছেড়ে দেওয়ার বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের আসাম রাজ্যে দেখা দেয় ভয়াবহ বন্যা। সেই সঙ্গে খরার মৌসুমে পানি না ছাড়ায় খরায় ভোগে বাংলাদেশ।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে চীনের ব্যাপক আগ্রহের মধ্যেই ঢাকা-দিল্লি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নেওয়ার জোর চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত।

এদিকে, জুন মাসে দুই পক্ষের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে যৌথ পরামর্শক কমিশন গঠনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ঢাকা ও দিল্লি। এর মধ্যে দিয়ে জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্ভাব্য ভারত সফরের পথ খুলে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সারাবাংলা/একেএম

টপ নিউজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর