বোনকে বিরক্তের প্রতিবাদ করায় খুন: ১ জনের ফাঁসি, ৩ জনের কারাদণ্ড
৩০ মে ২০২২ ১৬:০৪
ঢাকা: রাজধানীর শ্যামপুরে শেখ ইসলাম পাভেল নামে এক যুবককে হত্যার দায়ে তুহিন নামে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও তুহিনের ছোট ভাই এরফানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, তাদের এক ফুফাতো ভাইকে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং আরেকজনকেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৩০ মে) দুপুরে তিন আসামির উপস্থিতিতে ঢাকার ৮ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সৈয়দা হাফছা ঝুমা এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি এরফান ও রাব্বিকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও এক বছর কারাভোগ করতে হবে। এছাড়া আমৃত্যুদণ্ড কারাদণ্ড দেওয়া মাসুমকেও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি তুহিনকেও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার আগে তুহিনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। অপর তিন আসামির মধ্যে মাসুম পলাতক রয়েছে। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. মিলন এসব তথ্য জানান।
এদিকে, বাদীপক্ষের আইনজীবী আকলিমা আক্তার রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আশা করি রায়টি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মামলার ভিকটিম এবং আসামিরা শ্যামপুরের জুরাইন এলাকায় বাস করতো। তুহিন ভিকটিমের বোনকে প্রায় বিরক্ত করতো। এ নিয়ে পাভেল ও তুহিনের মধ্যে বিরোধ ছিল। ২০১৮ সালের ৩ নভেম্বর রাতে এলাকায় তুহিন ধুমপান করছিল। পাভেল তাকে ধুমপান করতে নিষেধ করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় পাভেলকে হত্যার হুমকি দিয়ে তুহিন চলে যায়।
পরে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে জুরাইন নতুন রাস্তা খাদ্য ভবনের পাশে পাভেল তার বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করছিল। এ সময় আসামিরা পাভেলের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করে। তখন পাভেলকে তার বন্ধুরা হাসপাতালে নিয়ে যায়। পর দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যায় সে। এ ঘটনায় ওই দিনই পাভেলের বাবা মনির হোসেন শ্যামপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর মামলাটির তদন্ত শেষে চার জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন পিবিআই‘র সাব-ইন্সপেক্টর মাসুদ খান। ২০২১ সালের আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালীন ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।
সারাবাংলা/এআই/পিটিএম