ওয়াসার পরিশোধিত পানিতে করোনাভাইরাস নেই: গবেষণা
৩১ মে ২০২২ ০০:০৮
ঢাকা: ঢাকা ওয়াসার পরিশোধিত পানিতে করোনারভাইরাসের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তবে পয়ঃনিষ্কাশনের ড্রেনের পানিতে এবং কর্দমাক্ত স্থানে করোনার জীবাণুর অস্তিত্ব রয়েছে। ড্রেনের পানিতে ৫৬ শতাংশ ও কর্দমাক্ত স্থানে ৫৩ শতাংশ ভাইরাসটির উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
সোমবার (৩০ মে) রাজধানীর ওয়াসা ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ আইসিডিডিআর,বি ও ঢাকা ওয়াসার যৌথ গবেষণার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংস্থা দু’টি জানায়, ২০২০ সালের আগস্ট থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ছয় মাসব্যাপী এক গবেষণা চালিয়েছে ঢাকা ওয়াসা ও আইসিডিডিআর,বি। গবেষণায় নেতৃত্ব দেন আইসিডিডিআর,বি’র এমিরেটাস সাইন্টিস্ট ড. সিরাজুল ইসলাম।
ঢাকা ওয়াসার পাগলা স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, নারিন্দা, বাসাবো পয়ঃপাম্পিং স্টেশন, ঢাকা শহরের ভূ-পৃষ্ঠের পানি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি পুকুর, মিরপুর মাজার পুকুর এবং বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদীর পানি নমুনা হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, ওয়াসার পরিশোধিত পানিতে ভাইরাসটির কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। একইসঙ্গে ঢাকা শহরের পুকুর ও নদীর পানিতেও মিলেনি করোনার জীবাণু।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে কোন ভাইরাস যাতে ওয়াসার পানিতে না থাকে সেই ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
এ সময় তিনি বলেন, ‘এখনো কিছু কিছু পানিবাহিত রোগ আছে। ঢাকায় যেসব পুরোনো পাইপলাইন ছিল সেগুলো পরিবর্তন করা হয়েছে। একটি এলাকায় যদি দুই হাজার মানুষ থাকে, সেখানে দুই থেকে চার ইঞ্চি লাইন বসানো হয়। কিন্তু পরবর্তীতে সেখানে ২০ হাজার লোক হয়ে যায়। তাই, এই সমস্ত এলাকা চিহ্নিত করে মোটা ব্যাসের পাইপ লাগাতে হবে।’
ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান বলেন, ‘শুধুমাত্র গতানুগতিকভাবে এই গবেষণা চালানো হয়নি, প্রকৃত অবস্থা তুলে আনতেই গবেষণাটি চালানো হয়েছে। করোনার সময়ে জীবন ও জীবিকা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মানাতে হাত ধোয়ার বিষয়টি দেখেছি।’
তিনি বলেন, ‘একইসঙ্গে আমাদের পানিতে করোনার কোনো অস্তিত্ব আছে কি না- সেটি দেখতে আইসিডিডিআর,বি’র সঙ্গে যৌথভাবে গবেষণাটি করা হয়। আশার কথা হলো, আমরা নিশ্চিত হলাম ঢাকা ওয়াসার পরিশোধিত পানিতে করোনার জীবাণু নেই।’
সারাবাংলা/ইউজে/পিটিএম