কার্বন নিঃসরণ কমাতে গুরুত্ব বাড়ছে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে
৩১ মে ২০২২ ১৭:১৯
নসরুল হামিদ, ফাইল ছবি
ঢাকা: বিশ্বের অনেক দেশই এখন কার্বন নিঃসরণ কমাতে কয়লার ব্যবহার কমাতে শুরু করেছে। পাশাপাশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে। বাংলাদেশও এখন সে পথে হাঁটছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে আমাদের দেশও এখন গুরুত্ব দিচ্ছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদন করার লক্ষ্য রয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ মে) বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠান ও সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এই কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতের সাশ্রয়ী ব্যবহারের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহারের জন্য গ্রাহকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে নবায়ণযোগ্য জ্বালানি থেকে ৪০ ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরিস্কার জ্বালানির ব্যবহার উত্তরোত্তর বাড়ানোর উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে কার্বন নিঃসরণও হ্রাস পাবে।
তিনি বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা এখন অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ। বৈশ্বিক পরিস্থিতি যা ই হোক, জনগণকে স্বস্তিতে রাখাই আমাদের লক্ষ্য। ফুয়েল মিক্সে নতুন নতুন জ্বালানি সম্পৃক্ত হতে যাচ্ছে এবং বড় বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো গ্রিডে আসছে, যা বিদ্যুতের সাশ্রয়ী মূল্য নিশ্চিত করবে।
তিনি আরও বলেন, হাইড্রোজেন পলিসি সমন্বিত মহাপরিকল্পনায় থাকবে; যা ক্লিন এনার্জির প্রসারে ব্যাপক অবদান রাখবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দুর্দান্ত সাহস ও দূরদর্শী সিদ্ধান্তে দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে। শতভাগ বিদ্যুতায়নের মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এবং মুজিববর্ষে শতভাগ বিদ্যুতায়ন সফলভাবে সম্পন্ন করায় এবছর বিদ্যুৎ বিভাগ ‘স্বাধীনতা পুরস্কার- ২০২২’-এ ভূষিত হওয়ার বিরল সম্মান অর্জন করেছে।
এসময় প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সাফল্য, বিদ্যুৎ খাতের বিভিন্ন প্রকল্প ও আগামী দিনের প্রযুক্তি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সাশ্রয়ী ব্যবহার ও সাশ্রয়ী মূল্য, ক্লিন এনার্জি ও নবায়ণযোগ্য জ্বালানি, বিদ্যুৎ আমদানি ও মেগা প্রকল্প ইত্যাদি বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনা করেন।পিডিবির চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান এসময় বক্তব্য রাখেন।
সারাবাংলা/জেআর/এসএসএ