মঞ্চ থেকেই না ফেরার দেশে সংগীতশিল্পী কে কে
১ জুন ২০২২ ০০:১৮
গান গাইতে গাইতেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন বলিউডের বিখ্যাত গায়ক কৃষ্ণকুমার কুনাথ, ‘কে কে’ নামেই যিনি ভক্তকূলের কাছে পরিচিত ছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর খবর বলছে, কলকাতার নজরুল মঞ্চে উল্টোডাঙার গুরুদাস মহাবিদ্যালয়ের মঞ্চে গান গাইছিলেন কে কে। হঠাৎ অসুস্থবোধ করলে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানান, ততক্ষণে পৃথিবীর মায়া কাটিয়েছেন তিনি।
ভারতীয় সময় রাত সাড়ে ৯টার দিকে (বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা) হাসপাতালে ভর্তি করা হয় জনপ্রিয় এই শিল্পীকে। চিকিৎসকরা ধারণা করছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তার। তার মরদেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস বলেন, গায়ক অনুপম রায় মাত্রই আমাকে ফোন দিয়ে এ খবর জানিয়েছে। আমি হাসপাতালে যোগাযোগ করেছি। হাসপাতাল থেকে বলেছে, তাকে মৃত অবস্থায় সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। আমি দ্রুতই হাসপাতালে ছুটে যাই।
কে কে’র জন্ম ও বেড়ে ওঠা দিল্লিতে। ১৯৯৯ সালে ‘পাল’ অ্যালবাম দিয়ে যাত্রা শুরু করেন তিনি। প্রথম অ্যালবামের ‘হাম রাহে ইয়া না রাহে কাল’ গানটি তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। ওই বছরই হাম দিল দে চুকে সানাম সিনেমার ‘তাড়াপ তাড়াপ’ গানটি তাকে রাতারাতি খ্যাতি এনে দেয়। এরপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। জারা সা দিলমে, তুহি মেরি সাব হে, ক্যায়া মুঝে পেয়ার হে, আলবিদা, পিয়া আয়ে না’র মতো একের পর এক সব গান দিয়ে মাতিয়ে রেখেছিলেন বলিউডকে।
কে কে’র বলিউডের গানগুলো ভারত ছাপিয়ে উপমহাদেশজুড়েই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। তবে হিন্দি ছাড়াও বাংলা, তামিল, কন্নড়, মালয়ালাম, মারাঠি, অসমীয়া ভাষাতেও জনপ্রিয় অনেক গান উপহার দিয়েছিলেন তিনি।
কে কে’র প্রয়াত হওয়ার খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রথম জানান আরেক সংগীত পরিচালক অমিত কুমারের স্ত্রী রিমা গাঙ্গুলি। সে খবর ছড়াতে সময় নেয়নি। একে একে তারকারা শোক জানাতে থাকেন। হার্ষদিপ কৌর লিখেছেন, ‘কে কে আর নেই, এ খবর বিশ্বাসই করতে পারছি না। এটা সত্যি হতে পারে না। প্রেমের এক কণ্ঠ হারিয়ে গেল। হৃদয় বিদারক।’ তারকা অভিনেতা অক্ষয় কুমার লিখেছেন, ‘কে কে’র প্রয়াণের খবরে অত্যন্ত মর্মাহত। এক এক অপূরণীয় ক্ষতি। শান্তিতে থাকো।’
সারাবাংলা/টিআর